বাংলার মুকুটে ফের সেরার পালক, স্বনির্ভরতায় ভারত-সেরার স্বীকৃতি মমতার রাজ্যকে
বাংলার মুকুটে ফের যুক্ত হল আরও একটি সেরার পালক। স্বনির্ভরতায় ভারত-সেরার স্বীকৃতি পেল বাংলা। শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করল স্বনির্ভরতায়।
বাংলার মুকুটে ফের যুক্ত হল আরও একটি সেরার পালক। স্বনির্ভরতায় ভারত-সেরার স্বীকৃতি পেল বাংলা। শুক্রবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানান বাংলা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করল স্বনির্ভরতায়। তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠী-সহ সমস্ত দফতরের আধিকারিককে শুভেচ্ছা বার্তা ও অভিনন্দন জানান।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে আরও জানান, ১০.০৪ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে বাংলায়। দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে আমাদের রাজ্যেই। জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অন্তর্ভুক্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠী তাই সেরার সন্মান ছিনিয়ে নিয়েছে বাংলা। এই সম্মান আমাদের কাছে গর্বের।
কেন্দ্র যতই বদনাম করুক বারবার জাতীয় স্তরে সেরার শিরোপা আদায় করে নিচ্ছে মমতার বাংলা। বাংলার ঝুলিয়ে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে একটা একটা করে পালক। বাংলাকে সেরার শিরোপা দিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্র। সম্প্রতি সংস্কৃতিতে বাংলাকে সেরার শিরোপা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। আর তারপর বাংলার ঝুলিয়ে সেরার শিরোপা আদায় করে নিয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী। তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, রাজ্যে ১০ লক্ষ ৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে বাংলায়। সেই কারণেই কেন্দ্রের স্বনির্ভরতা প্রকল্পে ভারতে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিতে পারল বাংলা। বারবার নিজের যোগ্যতায় সেররা শিরোপা আদায় করে নিচ্ছে আমাদের রাজ্য। তিনি লেখেন, ন্যাশনাল রুব়্যাল লাইভহুড মিশন প্রকল্পে দেশের সমস্ত রাজ্যকে পিছনে ফেলে বাংলা সেরার স্থান দখল করে নিয়েছে। তিনি ১৯০ লক্ষ ৪ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের পক্ষ থেকে বাংলাকে সংস্কৃতির সেরা পীঠস্থানের স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব-মঞ্চে সেই পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জার্মানির বার্লিনে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে বেস্ট ডেস্টিনেশন ফর কালচার অ্যাওয়ার্ড। তারপর স্বনির্ভরতায় নতুন পালক যুক্ত হল বাংলার মুকুটে।
সংস্কৃতিতে সেরার সম্মান ছিনিয়ে নেওয়ার আগে বাংলার দুর্গাপুজো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। তারও আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কন্যাশ্রী-সহ একাধিক প্রকল্প বিশ্বসেরার স্বীকৃতি পেয়েছে। এবছরই ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হয়েছে বাংলার দুর্গাপুজোকে। এরপর রাজ্যের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ দিয়ে এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। তার আগে পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ নাচকেও স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। ফলে বাংলার সংস্কৃতির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ধারা আগে থেকেই চলছিল।