তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ব্যাপক রদবদল মমতার! কারা এলেন কারা গেলেন, একনজরে
তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ব্যাপক রদবদল মমতার! কারা এলেন কারা গেলেন, একনজরে
তৃণমূলের কংগ্রেসের সংগঠনে ব্যাপক রদবদল ঘটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে তিনি নতুন জেলার ঘোষণা করেছেন, অন্যদিকে প্রায় প্রতি জেলার নেতৃত্বে বদল এনেছেন। জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যান পদে রদবদল হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। অনেকের পদ গিয়েছেন, তাঁদের জায়গায় এসেছেন নতুন মুখ। উল্লেখযোগ্যদের অনেকে বাদ গেলেন দলের নেতৃত্বে। তাঁদের কাউকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলে আভাস মমতার।
৩৫টি মধ্যে ৩২টি জেলার সভাপতি-চেয়ারম্যান
তৃণমূলে সর্বভারতীয় সভানেত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জেলার নতুন সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে ৩৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩২টি জেলার সভাপতি ও চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তিনটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম জানায়নি। পরে জানানো হবে বলা হয়েছে তালিকায়।
কোন কোন তিনটি জেলায় নাম জানানো হবে পরে
উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থ ভৌমিককে। তাঁর জায়গায় কে হবেন জেলা সভাপতি, তা জানানো হয়নি। পরে জানানো হবে সেই নাম। সেইসঙ্গে জানানো হয়নি কলকাতা উত্তরের চেয়ারম্যানের নাম এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতির নাম এখনও জানায়নি তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে কাকে সরিয়ে কে এলেন নেতৃত্বে
কোচবিহারের জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্থপ্রতিম রায়কে। পার্থপ্রতিম রায়ের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে অভিজিৎ দে ভৌমিক। কোচবিহারের জেলা চেয়ারম্যান করা হয়েছে গিরীন্দ্র বর্মনকে। এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে উদয়ন গুহকে। বনগাঁর জেলা সভাপতি পদেও রদবদল করা হয়েছে। এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে গেপাল শেঠকে। তাঁর জায়গায় সভাপতি করা হয়েছে বিশ্বজিৎ দাস। এখানে উল্লেখ্য, বিশ্বজিৎ দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। তারপর তিনি দলবদল করে তৃণমূলে ফিরে যান।
আরও কয়েকটি জেলায় উল্লেখযোগ্য রদবদল
হুগলির-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তীকে সরিয়ে জেলা সভাপতি করা হয়েছে অরিন্দম গুঁইকে। আবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সভাপতি পদেও রদবদল করা হয়েছে। উজ্জ্বল দে বসাকের জায়গায় নতুন জেলা সভাপতি হয়েছেন মৃণাল সরকার। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদ থেকে অশনি মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে আনা হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। তমলুক জেলা সভাপতির পদে আনা হয়েছে সৌমেন মহাপাত্রকে।
প্রশাসনিক জেলাবৃদ্ধিতে বাড়কে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা
অন্য সব জেলায় সভাপতি ও চেয়ারম্যান বদল করা হয়নি। তবে একইসঙ্গে উল্লেখ্য, এদিনই নতুন সাতটি জেলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার যে নতুন সাতটি প্রশাসনিক জেলা হয়েছে। তার জন্য আলাদা জেলা সভাপতি ঘোষণা করা হয় কি না। নাকি তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের সাংগঠনিক জেলার ভিত্তিতেই দলের কার্যক্রম চালিয়ে যায়। উদাহারণ স্বরূপ বলা যায় উত্তর ২৪ পরগনায় চারটি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে। এখন উত্তর ২৪ পরগনা ভেঙে তিনটি জেলা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনা, বসিরহাট (চূড়ান্ত নাম পরে হবে) এবং ইছেমতী। এখন এই জেলার নাম নিয়ে তৃণমূল সাংগঠনিক জেলাও বৃদ্ধি করে কি না। আবার মুর্শিদাবাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
বাংলায় সাতটি নতুন জেলার ঘোষণা মমতার, কোন কোন জেলা ভেঙে কী কী জেলা হল নয়া সিদ্ধান্তে