অধীর-গড়ে তৃণমূল ফোটাতে দারুন কাজ করেছে শুভেন্দু, পরতে পরতে প্রশংসা মমতার
১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হলেও মুর্শিদাবাদে ফুল ফোটাতে কেন ২০ বছর সময় লেগে গেল, তার যুক্তি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে।
১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হলেও মুর্শিদাবাদে ফুল ফোটাতে কেন ২০ বছর সময় লেগে গেল, তার যুক্তি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। অধীর-গড়ে তৃণমূলের বিস্তারের জন্য যে মমতার সেনাপতি হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী দারুন কাজ করেছেন, তা পরতে পরতে বুঝিয়ে দিলেন মমতা।
মুর্শিদাবাদের সংগঠনে
মমতার কথায়, কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদের সংগঠন যদি কেউ করে থাকে, তা যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় আমিই করেছি। অন্য কেউ নয়। আর '৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পর প্রতীক পৌঁছে দিতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। ২০১৬ সালের পর শুভেন্দুকে পর্যবেক্ষক করে পাঠানোর পরই তৃণমূল বিস্তার লাভ করতে শুরু করে।
এগিয়ে দিয়েছে শুভেন্দু
মমতা বলেন, শুভেন্দু খুব ভালো কাজ করেছে। তাই মুর্শিদাবাদের মাটিতেও তৃণমূল ফুটেছে। এবার লোকসভাতেও এই জেলা থেকে জিতবে তৃণমূল। আমরা শুভেন্দুকে সবরকম সাহায্য করেছি। আর সামনে থেকে তৃণমূলকে এই জেলায় এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে শুভেন্দু। শুধু এই জেলাতেই নয়, মালদহ ও উত্তরদিনাজপুরেও শুভেন্দু তৃণমূলকে এগিয়ে দিয়েছে।
সব আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে
মমতা বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর- সব আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুর্শিদাবাদের উন্নয়নের জন্য সবরকম কাজ করেছে। আমরা জিতিনি, তবু আমরা এই জেলাকে উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়েছি। আমাদের নেতারা বিশেষ করে শুভেন্দু এই জেলায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
[আরও পড়ুুন: কে বিশ্বাসঘাতক? অধীরের 'ঘরে' ঢুকে মোক্ষম জবাব মমতার, দিলেন হারানোর ডাক]
পাঁচে পাঁচ, দাবি মমতার
সেইসঙ্গে মমতা বলেন, এখন পর্যন্ত পাঁচটি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে, আমরা পাঁচটিতেই জিতব। বাকি সবগুলোতেও জিতব। কারণ ভোটটা তো মানুষ দেবেন। মানুষের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কংগ্রেস বিজেপির সমর্থনে ভোটে জেতে। তাই কংগ্রেসকেও একটা ভোটও দেবেন না এখানে।
সব ভোট তৃণমূলকে দিন
মমতার আবেদন, এখানে সব ভোট তৃণমূলকে দিন। আমরা সকেল মিলে দেশ গড়ব। সারা দেশ মিলে আমরা একসঙ্গে লড়ব। আমাদের একটাই অ্যাজেন্ডা, মোদী হটাও দেশ বাঁচাও। বাংলার সাল ১৯২৬, আমরা চাই ৪২-এ ৪২। বাংলায় ভোট ভাগাভাগি করবেন না। এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। এই সুযোগ হারালে সব হারাবেন।
[আরও পড়ুন: 'মোদীর নামে জুতো বানানোই আর বাকি আছে', বালুরঘাটে গর্জে উঠলেন মমতা ]