সারদাকাণ্ডের পর প্রথমবার শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে বুদ্বিজীবীদের বৈঠক, হাজির মুখ্যমন্ত্রীও
শিল্পী শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। দীর্ঘদিন পরে ফের শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হাজির হওয়া নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
চিত্র শিল্পী শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজির ছিলেন সরকারপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। দীর্ঘদিন পরে ফের শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর হাজির হওয়া নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় সল্টলেকের বিএইচ ১৬৭-তে শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে যান। সন্ধে ৬.১৫ থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে। জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পিয়ানো বাজান। গান গেয়েও শোনান উপস্থিত অতিথিদের।
সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে একাধিকবার শুভাপ্রসন্নর বাড়িতে সেই সময় পরিবর্তনপন্থী বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সারদা কাণ্ডের পর থেকে দীর্ঘ সময় মুখ্যমন্ত্রীর আশপাশে দেখা যায়নি শিল্পী শুভাপ্রসন্নকে।
ঠিক কী কারণে বৈঠক তা জানা না গেলেও সূত্রের খবর, বিজেপি বিরুদ্ধে নামার বার্তা দিতেই বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক। সেইজন্যই বেছে নেওয়া হয়েছিল শুভাপ্রসন্নর বাড়ি। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু ছাড়াও হাজির ছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার, অরিন্দম শীল, সুবোধ সরকার, অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার, গৌতম ঘোষ, মনোজ মিত্র, বিভাস চক্রবর্তী, জুন মালিয়া-সহ অনেকেই।
বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে কবি সুবোধ সরকার জানান, এই মুহূর্তে কঠিন জায়গা সাম্প্রদায়িকতা। গৌতম ঘোষ জানান, প্রকৃতি ধংস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অরিন্দম শীল বলেন, নতুন বছরের আড্ডা। মনোজ মিত্র জানান, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। আর যার বাড়িতে আড্ডার আয়োজন, সেই শুভাপ্রসন্ন জানান, নিছকই ঘরোয়া আড্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার এ ধরনের বৈঠকে এই প্রথমবার যোগ দিলেন।
সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী শিল্পী শুভাপ্রসন্ন-র বাড়িতে হওয়া বৈঠককে কটাক্ষই করেছেন। সারদাকাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে ফের বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আগামী ২৮ জানুয়ারি আইসিসিআর-এ বিবেকানন্দ সম্পর্কিত একটি আলোচনায় বিজেপি চাইছে কিছু বিদ্বজনকে হাজির করাতে। সেদিক থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধের বৈঠককে গল্প ও আড্ডার বলে ব্যাখ্যা করা হলেও, হঠাৎই বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বৈঠককে তাৎপর্যমূলক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সম্প্রতি কলকাতায়.য় এসে আরএসএস প্রধান মোহন বগবত সঙ্গীত শিল্পী রাশিদ খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন শিল্পীর বাড়িতে আরএসএস প্রধানের চলে যাওয়ার বিষয়টি আলোচনা হয় তৃণমূলের অন্দরে।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে ডাক পাননি রাশিদ খান। আবার ডাক পেয়েও হাজির হননি শাঁওলি মিত্র। ঘনিষ্ঠ মহলে শাঁওলি মিত্র জানিয়েছেন, শারীরিক কারণেই তিনি বৈঠকে হাজিরা দিতে পারেননি।