বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! রণকৌশল বাঁধতে লক্ষ্মীবারে মেগা বৈঠক মমতার
গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়ে শাসকদল তৃণমূল! বাংলায় ১৮টি আসন পায় বিজেপি। এক ধাক্কায় বাংলায় এভাবে বিজেপির এমন উত্থান যথেষ্ট নজরে চলে আসে। যদিও সময়ের সঙ্গে রাজনীতিতে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি।

সংগঠনও তথৈবচ অবস্থা! কিন্তু কোনও ভাবেই রিস্ক নিতে রাজি নয় শাসকদল তৃণমূল। বিশেষ করে বছর ঘুরলেই বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে।
অনেকে বলেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেভাবে বাংলার মানুষ সন্ত্রাস দেখেছে তার ফলস্বরূপ নাকি লোকসভায় বিজেপির ভোট বাড়া! যদিও এরপর থেকে অনেক বারই শাসকদলের নেতাদের মুখে ক্ষমার প্রসঙ্গ সামনে এসেছে। মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন। কিন্তু বিষয়টি কি তাই? এই অবস্থায় বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী পাঁচ মে অর্থাৎ বৃহস্পতিবারে একেবারে মেগা বৈঠক শাসকদলের। জানা যাচ্ছে, খোদ নেত্রী দলের সমস্ত অবস্থার খোঁজখবর নেবেন। সেই মতো ব্যাক টু ব্যাক বৈঠক হওয়ার কথা আছে। একদিকে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বসবেন। বৈঠক করবেন জেলা সভাপতি এবং শাখা সংগঠনগুলির প্রধানদের সঙ্গেও।
ফলে এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে খবর। আর এই বৈঠক থেকেই নেতৃত্বকে আগামির রূপরেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৈরি করে দিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে।
তবে এবার বিশেষ ভাবে জনসংযোগে জোর দিতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তাই দিদিকে বলো'র মতো আরও একটি কর্মসূচি নিয়ে আসতে চলেছেন তৃণমূল। ভোট কৌসুলি প্রশান্ত কিশোরের বেঁধে দেওয়া ছকেই এই কর্মসূচি প্রতিটি ব্লকে ব্লকে কাজ করবে। এছাড়াও প্রত্যেক এলাকায় তৃণমূল কর্মীরা মানুষের কাছে পৌঁছবেন। তাঁদের সমস্যার কথা শুনবেন এবং সমাধান করার চেষ্টা করবেন। আর সেদিকে তাকিয়ে ওই বৈঠক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ জানাতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে গোষ্ঠী কোন্দল দলের মধ্যে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে! অনেকেই মুখ খুলছেন বিভিন্ন ভাবে। সে বিষয়ে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের বড় বার্তা নেত্রী দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন, ২৩ এবং ২৪ এর লক্ষ্যে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়তে চাইছে তৃণমূল। আর সেদিকে তাকিয়েই এই বৈঠক। আর এই বৈঠকের মাধ্যমেই জনসংযোগে জোর দেওয়ার নির্দেশ যে নেতৃত্ব দেবেন তা কার্যত স্পষ্ট।
জানা গিয়েছে, বাইপাসের ধারে সুসজ্জিত পার্টি অফিস থেকেই এই বৈঠক হবে। প্রথমে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বসবেন মমতা। এরপর বিকেলের দিকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যেই তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলির প্রধানদের সঙ্গেও বৈঠক সেরে নেবেন তিনি। কীভাবে এই সংগঠনগুলি মানুষের কাছে পৌঁছবেন সেই রূপরেখাও হয়তো এই বৈঠকের মাধ্যমেই তৈরি করে দিতে পারেন নেত্রী।