উপনির্বাচনের কারণে ফের একবার পিছতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা? ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর কথায়
ভোটের কারণে পিছচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা! খুব শীঘ্রই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী ১২ তারিখ বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু
ভোটের কারণে পিছচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা! খুব শীঘ্রই নতুন তারিখ ঘোষণা করা হতে পারে। এমনটাই ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী ১২ তারিখ বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র উপ নির্বাচন রয়েছে। কিন্তু ভোটের দিনের আগে এবং পরের দিনই উচ্চ মাধ্যমিক রয়েছে।
অর্থাৎ ১১ তারিখ এবং ১৩ তারিখ পরীক্ষা রয়েছে। ফলে ১২ তারিখ ভোট হলে পরীক্ষা হওয়া নিয়ে একটা সংশয় তৈরি হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী আজ বুধবার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনার মাধ্যমে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
যদিও এদিনই ১২ তারিখ উপ নির্বাচনের তারিখ পিছানোর দাবি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদরা। সুখেন্দু শেখর রায়ের নেতৃত্বে একটি টিম কমিশনে যান। আর ভোটের দিন পিছানোর দাবি জানান। মূলত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকার কারণেই ভোট পিছানোর দাবি জানানো হয়।
সাক্ষাৎ শেষে তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হলেও নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি তারিখ পিছানো যায় কিনা তা নিয়েও ভেবে দেখার কথা কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুখেন্দু শেখর রায়।
তবে এর আগে উপনির্বাচনের দিন পিছানোর দাবি জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেয় রাজ্য সরকার। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা ভেবেই এই চিঠি দেওয়া হয়। মূলত এই দুই এলাকাতে ভোটের জন্যে স্কুলগুলিকে বেছে নেওয়া হবে। সেখানে বুথ কেন্দ্র করা হবে। আর তা যদি নেওয়া হয় তাহলে ভোটের আগের দিন এবং পরের দিন কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব? সেখানে দাঁড়িয়েই এই চিঠি দেওয়া হয়।
যদিও কমিশন ভোট পিছোতে রাজি নয়। মঙ্গলবার সেই খবর সামনে আসে। কেন ভোট পিছানো সম্ভব না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় বলে খবর। কমিশনের দাবি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ছয়মাসের মধ্যেই ভোট করাতে হয়। হিসেব মতো আসন শূন্য হওয়ার এই সময়ের মধ্যেই ভোট করাতে হয়।
ইতিমধ্যে আসানসোল লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা বাবুল দিয়েছেন তা অনেকদিন কেটে গিয়েছে।
এমনকি বালিগঞ্জ বিধানসভার ক্ষেত্রেও ছবিটা এক। ভোট পিছানোর ক্ষেত্রে আর সময় নেই। আর যদি পিছানোই হয় তাহলে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে বলে খবর। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভোট করাবে বলে একপ্রকার নিশ্চিত কমিশন। উল্লেখ্য, জয়েন্টের কারণে ইতিমধ্যে একবার সিলেবাস বদল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার। বেশ কয়েকটি পরিক্ষার তারিখ বদল হয়েছে। এই অবস্থায় এবার ভোটের কারণে বদল হতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষার দিন।