পার্থদের নামে সিবিআইয়ের চার্জশিটে আইনি জটিলতার শঙ্কা! মিলল না রাজ্যের অনুমতি
এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তের প্রায় ৫১ দিনের মাথাতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে এই মামলাতে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে নিয়োগ কেলেঙ্কার
এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। তদন্তের প্রায় ৫১ দিনের মাথাতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে এই মামলাতে চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেখানে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখানো হয়েছে।
কিন্তু সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিট ঘিরে তৈরি হচ্ছে আইনি জটিলতা। আইনজীবীদের একাংশের মতে, চার্জশিট গ্রহণযোগ্য হওয়ার ক্ষেত্রে আইনি সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর তাতেই আশঙ্কার কালো মেঘ।
ঠিক কি ঘটেছে?
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেখানেও নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল পান্ডা হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখানো হয়েছে। এছাড়াও আরও ১৫ জনের নাম রয়েছে সেখানে। রয়েছে এসএসএসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। এছাড়াও এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের তৎকালীন প্রোগ্রামিং অফিসার সমরজিৎ আচার্যের নামও রয়েছে চার্জশিট। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা।
রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং অন্যান্য রাজ্যের আধিকারিক ছয়জনের নামে চার্জশিট জমা দিতে রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। গত দু'সপ্তাহ আগেই এই বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আর তা চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছিল সিবিআই আধিকারিকরা। কিন্তু দিনের পর দিন কেটে গেলেও সেই অনুমতি মেলেনি বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। ফলে সরকারের অনুমতি না নিয়েই সরকারি পদে থাকা ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তাতেই তৈরি হচ্ছে নানা আশঙ্কা।
সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়।
বলে রাখা প্রয়োজন, সরকারের কোনও পদে রয়েছেন এমন কারোর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়। এই বিষয়ে দুর্নীতি দমন আইনের ১৯ নম্বর ধারায় বিস্তারিত ভাবে বলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, সরকারি পদে রয়েছেন এমন কোনও ব্যক্তি কিংবা আধিকারিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। সেই মতো পার্থ সহ ছয়জন আধিকারিকের নামে চার্জশিট দিতে রাজ্যের কাছে অনুমতি চায় সিবিআই। কিন্তু সেই অনুমতি এখনও মেলেনি।
তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা।
আর তাতে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা। আইনজীবীদের মহলে এই বিষয়ে নানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চার্জশিট গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে আইনি সমস্যা হতে পারে। আর তাতেই নানা আইনি সমস্যার আশঙ্কা করছেন আইনজীবীমহলের একাংশ।