কর্মংস্থানে জোয়ার আনতে শিল্পবান্ধব বাংলা, অভিনব উদ্যোগ নিল মমতার সরকার
কর্মংস্থানে জোয়ার আনতে শিল্পবান্ধব বাংলা, অভিনব উদ্যোগ নিল মমতার সরকার
কর্মসংস্থানে জোয়ার আনতে এক অভিনব উদ্যোগ নিল মমতা বন্যো্চপাধ্যায়ের সরকার। শিল্পবিকাশকেই হাতিয়ার করেই কর্মসংস্থানে জোয়ার আনতে উদ্যোগী হলেন শিল্পমন্ত্রী। এ জন্য তিনি শিল্পবিকাশের উপযোগী পরিবেশ তৈরির উপর জোর দিলেন। কর্মসংস্থানের লক্ষ্য শিল্পই হবে শেষ কথা সেজন্য শিল্পবান্ধব হয়ে ওঠার নতুন প্রয়াস নিল রাজ্য।
রাজ্যে জমি পাওয়ার রাস্তা আরও সহজ
রাজ্যে বিনোয়োগ টানতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করে আসছে তৃণমূল সরকার। সেখানে সাড়াও মিলেছে দেশ ও বিদেশের লগ্নিকারীদের। কিন্তু শুধু বাণিজ্য সম্মেলন করেই বসে থাকলে হবে না। শিল্পবান্ধব মানসিকতার পরিচয় দিয়ে আরও এক পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য। রাজ্যে জমি পাওয়ার রাস্তা আরও সহজ করে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
আরও উন্নত পরিষেবা শিল্পসাথী পোর্টালে
রাজ্য সরকার শিল্প সংস্থাগুলির কাছে বারবার জানিয়ে এসেছে এক জানালা সিস্টেমের কথা। সেইমতো শিল্পসাথী পোর্টালের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ছাড়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছিল। এই শিল্পসাথী পোর্টালকে এবার ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দুমাসের মধ্যে আরও উন্নত পরিষেবা প্রদান করা হবে এই শিল্পসাথী পোর্টালের মাধ্যমে, সেভাবেই তৈরি করা হচ্ছে পরিকাঠামো।
রাজ্যও নিজস্ব নীতি তৈরির পরিকল্পনায়
রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীশশী পাঁজা জানিয়েছেন, নতুন পোর্টালটি সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। কলকাতার এক বমিকসভায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন। বলছেন, রাজ্যে শিল্প পরিকাঠামো মানোন্নয়নে রাজ্য সরকার একটি পৃথক নীতির পরিকল্পনা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে খরচ কমাতে বহুমুখী পরিবহণ পরিকাঠামো নীতি চালু করেছে। একইসঙ্গে রাজ্যও নিজস্ব একটি নীতি তৈরি করার কথা চিন্তাভাবনা করছে।
শিল্পবান্ধব হয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বৈব সুযোগ
শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, বিনিয়োগ আসুক, শিল্প হোক, হোক কর্মসংস্থান- এটাই চায় রাজ্য। ছোটো না কি বড় শিল্প, তা নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই রাজ্যের। মোট কথা, শিল্প গড়তে হবে, কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তার জন্য শিল্পবান্ধব হয়ে বিনিয়োগকারীদের সর্বৈব সুযোগ ও সুবিধা দিতে তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন শশী পাঁজা।
প্রকৃত অর্থে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু
শশী পাঁজা জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীদের যে কোনও সমস্যার সমাধানে তারা তৎপরতা দেখাবে। সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টোম চালুর মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে জমি হস্তান্তরের ব্যাপারে তাঁরা উদ্যোহী হবে। এর আগে দু-ধাপে জমি প্রদান করা হত। ফলে অনেকটা সময়ে চলে যেত। এখন তা আর সহজ করে দেওয়া হচ্ছে। আগে ছোটো, মাঝারি ও বড় শিল্পের জন্য পৃথক জায়গায় দরখাস্ত করতে হত, এখন সেই ভেদাভেদও ঘুচিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মোট কথা, প্রকৃত অর্থে সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম চালু করে শিল্প আনতে আগ্রহী হচ্ছে রাজ্য সরকার।
টাটা-এয়ারবাস প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন! মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়া এখন মেক ফর দ্য গ্লোব