পুরনো যোদ্ধাদের ভোলেননি তিনি! প্রশাসনিক বৈঠকে এসে ‘বনমালীদা’র খোঁজ মমতার
পুরনোদের মাথায় রেখে উন্নয়নের কাজ করার বার্তা দিলেন নতুন বিধায়কদের। বর্ধমানের গুসকরা থেকে মমতা তাঁর দলের বিধায়ককে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘বনমালীদা কোথায়?
কোর কমিটির বৈঠক থেকেই পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও পুরনোদের মাথায় রেখে উন্নয়নের কাজ করার বার্তা দিলেন নতুন বিধায়কদের। বর্ধমানের গুসকরা থেকে মমতা তাঁর দলের বিধায়ককে বললেন, 'বনমালীদা কোথায়? বনমালীদাকে নিয়ে সমস্ত কাজ করতে হবে।'
[আরও পড়ুন: রেল চায় না সিপিএম! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে উন্নয়ন-বার্তায় মানুষের পাশে মমতা ]
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'বর্ধমানের ভাতারের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা দলের সিনিয়রদের একজন। তাঁকে গুরুত্বের আসনে বসিয়ে সমস্ত কাজ করতে হবে বলে সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তাঁর এই কথা থেকে স্পষ্ট তিনি দলের আদি-নব্যের দ্বন্দ্ব চান না। তৃণমূল একটা দল। সেখানে কোনও বিভেদ না রেখে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার বার্তা দিলেন তিনি।
মোট কথা পঞ্চায়েতের আগে কোন আদি-নব্য দ্বন্দ্ব থাকুক, চান না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলের কোর কমিটির বৈঠক থেকে শুরু করে সরকারের প্রশাসনিক বৈঠক- সব জায়গা থেকেই দলকে সবক শেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী । তিনি জানেন, সামনে বড়় লড়াই। সেখানে দলের মধ্যে বিভেদ, ভুল বোঝোবুঝি থাকলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।
[আরও পড়ুন:মহাজোট চায় বিজেপিও! বাংলায় তৃণমূলকে হারাতে নতুন সূত্রের সন্ধান দিলেন রাহুল]
হুগলির গুড়াপ থেকে বর্ধমানের গুসকরা- দুই জেলার প্রশসানিক বৈঠক থেকেই উন্নয়ন বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনে জনে বিধায়কদের ডেকে উন্নয়নের খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। আর সেইসময় ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলকে দেখেই মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরার কথা।
মুখ্যমন্ত্রী বনমালীবাবুকে নিয়ে কাজ করার বার্তা দিয়ে বর্তমান বিধায়কের উদ্দেশে বলেন, 'বনমালীদাকে বলবেন, আমি তাঁর খোঁজ নিচ্ছিলাম। আর তিনি দলের সিনিয়র একজন। তাঁকে যথাযোগ্য সম্মান দিয়ে তাঁকে মাথায় বসিয়ে কাজ করবেন।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তায় আদি-নব্যের সহাবস্থানের চেষ্টাই ধরা পড়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে। আর তা যদি হয়, পঞ্চায়েতের আগে তা হবে তৃণমূলের জন্য ভালো লক্ষণ। সেই চেষ্টাই করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।