দাম নিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষ, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! একই সঙ্গে করলেন আশঙ্কা প্রকাশও
দাম নিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষ, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর! একই সঙ্গে করলেন আশঙ্কা প্রকাশও
শীত পড়ছে! আর তা আসতেই ধীরে ধীরে শাক-সবজি থেকে শুরু করে একাধিক জিনিসের দাম বেড়েছে। কার্যত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি যেভাবে হচ্ছে তাতে মধ্যবিত্তের উপর ক্রমশ চাপ বাড়ছে। এই অবস্থায় জরুরি বৈঠকে বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সোমবার নবান্নে টাস্ক ফোর্স, কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গে এই বৈঠক করেন তিনি। আর সেখানেই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেন প্রশাসনিক প্রধান। একই সঙ্গে বেশ কিছু আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
বলে রাখা প্রয়োজন, বিজেপি ডিসেম্বরে কিছু ঘটতে পারে বলে সুর চড়িয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
একাধিক জিনিসের দাম বেড়েছে
ইতিমধ্যে শাক-সবজি থেকে শুরু করে একাধিক জিনিসের দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি অনিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়তি আলু থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক জিনিসের দাম কমানোর কথা বলা হয়েছে। তবে কেন বাঁধাকপি, পালং শাকের দাম এত বেশি তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যান্য শাক বাজারে নিয়ে আসারও নির্দেশ দেন তিনি। তবে বাঁধাকপি কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারণে দাম একটু বেশি বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী
এছাড়াও আলু কিংবা মাংসের দাম নিয়েও এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৫ টাকা করে আলু বিক্রি হচ্ছে বলেও এদিন বৈঠকে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেজন্যে হিমঘর থেকে আলু বের করে আনার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি মাংসের দাম কমানোর কথাও বলেছেন প্রশাসনিক প্রধান। বলে রাখা প্রয়োজন, কেজিতে অনেক জায়গাতেই ২০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে মুরগির মাংস। তবে জ্বালানির দাম বেড়েছে। এর প্রভাব বাজারে পড়েছে বলে মেনে নেন মমতা। মানুষ জিনিসপত্রের দাম নিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পাচার হতে পারে বলেও আশঙ্কা
অন্যদিকে একদিকে শাক-সবজির দাম নিয়ে যেখানে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে সব্জির গাড়িতে কিছু পাচার হতে পারে বলেও আশঙ্কা তাঁর। আর সেদিকে তাকিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নাকা চেকিং বাড়াতে বলেন পুলিশমন্ত্রী। একই সঙ্গে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই শঙ্কাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তাঁর দাবি, টাকা তুলতে ট্র্যাফিক পুলিশকেও কাজে লাগানো হয়েছে। টোল টেক্স বসানো হচ্ছে রাজ্য সড়কগুলিতে। এই বিষয়ে মিটিং চলছে বলেও অভিযোগ। তবে এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাকে অপমান! বয়েই গিয়েছে দিল্লির টাকা নিতে, কাকে নিশানা করলেন মমতা