অধীর-গড়ে কংগ্রেসের ভিত গড়েছেন মমতা! ৩০ বছর আগের স্মৃতি আজ প্রচারে
মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে গড়ে তুলেছেন কে? ২০১৯ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে তা নিয়েই উত্তর দিলেন মমতা। মুর্শিদাবাদে যদি কেউ কংগ্রেসের সংগঠন করে থাকে, তা শুধু আমি।
মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে গড়ে তুলেছেন কে? ২০১৯ লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে তা নিয়েই উত্তর দিলেন মমতা। অধীর-গড়ে ভোটপ্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, মুর্শিদাবাদে যদি কেউ কংগ্রেসের সংগঠন করে থাকে, তা শুধু আমি। যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় আমি করেছি মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সংগঠন।
মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের সংগঠন মমতার!
মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের সংগঠন যে অধীর চৌধুরীর হাতে গড়া নয়, তা এদিন মমতা বুঝিয়ে দিলেন পরতে পরতে। বহরমপুরে ভোটপ্রচারে এসে সেইসঙ্গে তিনি বোঝাতে চাইলেন, তাঁর গড়ে দেওয়া ভিতের উপর বসেই এতদিন ছড়ি ঘুরিয়েছেন অধীর চৌধুরী। এবার নবাব-গড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবেশের পর আর অধীর-নিশান থাকবে না।
অধীর চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মমতা
এদিন বহরমপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে খোদ অধীর চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরে দাঁড়িয়ে অধীর চৌধুরীকে হারানোর ডাক দিলেন। তাঁর সাফ কথা, এখানে বিজেপির সমর্থনে কংগ্রেস ভোটে জেতার চেষ্টা করছে, তা হতে দেবেন না। কংগ্রেসের আর কিছু নেই। একার শক্তিতে জেতার ক্ষমতা নেই।
আমরা নই, বিশ্বাসঘাতক ওরাই
বর্তমান কংগ্রেসকে আরএসএসের দোসর বলে মনে করেন তিনি। মমতা বলেন, আমরা বিশ্বাসঘাতক নই। আমরা প্রাণ গেলেও বিশ্বাসঘাতকতা করি না। বিশ্বাসঘাতক এখানকার কংগ্রেস। এরা দিনের বেলায় সিপিএমের সঙ্গে মিটিং করে, আর রাতে বিজেপির সঙ্গে ভাব করে। এভাবে ভোটে জেতা যায় না। মানুষ এসব বেইমানদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে।
অধীর-গড়ে শুভেন্দু বাজিমাত করেছে
মমতার কথায়, '৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পর প্রতীক পৌঁছে দিতে পারিনি। ২০১৬ সালের পর শুভেন্দুকে তিন রাজ্যের পর্যবেক্ষক করে পাঠানোর পর ও খুব ভালো কাজ করেছে। তাই মুর্শিদাবাদের মাটিতেও তৃণমূল ফুটেছে। মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে কংগ্রেসের নাম ও নিশান মুছে দিয়ে ঘাসফুল ফোটানোর রাস্তাটা তৈরি করেছেন শুভেন্দুই। আমরা তাঁকে সবাই সাহায্য করেছি।