মুকুলের মন্তব্যে ঘোর অসন্তুষ্ট মমতা, দলের অন্দরে টানাপোড়েন
২০১০ সালে সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে রেলের যে চুক্তি হয়েছিল, তা নিয়ে গত মঙ্গলবার মুকুলবাবু বলেছিলেন, "ওটা নিয়ে আমি কিছু জানি না। ওটা যে সময়ের ঘটনা, তখন আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম না। যদি কিছু অনিয়ম হয়, তার তদন্ত হতে পারে। ক্যাগ আছে, রেলওয়ে অডিট আছে।" তাঁর এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, যাবতীয় অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে তিনি ঝাড়া হাত-পা হতে চেয়েছেন। পাছে সিবিআই তাঁকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করে, তাই আগেভাগে তিনি এ কথা বলে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছেন বলে অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের।
আরও
পড়ুন:
রেল-সারদা
চুক্তির
দায়
মমতার
দিকে
ঠেললেন
মুকুল,
বিপদে
ভাই
পালাচ্ছে,
কটাক্ষ
অধীরের
আরও
পড়ুন:
লোক
ঠকাবো,
তদন্ত
হলেই
ষড়যন্ত্র!
সারদা
ইস্যুতে
মমতাকে
তোপ
প্রাক্তন
বিচারপতির
আরও
পড়ুন:
রেলের
সঙ্গে
কী
চুক্তি
হয়েছিল
সারদার,
কারা
জড়িত,
তদন্তে
সিবিআই
এর জেরেই দলের অন্দরে চাপে পড়ে গিয়েছেন মুকুলবাবু। মুকুল-বিরোধী গোষ্ঠী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়েছেন, এটা স্বার্থপর আচরণ। যখন দলনেত্রীর নাম উঠে আসছে, তখন পাল্টা বুক চিতিয়ে আক্রমণ শানানো উচিত ছিল। কিন্তু তা তিনি করেননি। তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্বই আবর্তিত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে। মুকুলবাবুর মন্তব্যের জেরে জনমানসে এতদিনের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত হয়েছে। এমন লোকের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা উচিত বলে মত দিয়েছে মুকুল-বিরোধী গোষ্ঠী। নাম না লেখার শর্তে শাসক দলের এক নেতা বলেন, "মুকুলবাবু খুবই অন্যায় কাজ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আমাদের কোনও অস্তিত্বই নেই। আজ উনি যতটুকু পরিচিতি পেয়েছেন, সেটা দিদির কারণে। এমন লোককে দল থেকে বের করে দেওয়া উচিত।"
যদিও মুকুলপন্থীদের মতে, তিনি তো বলেছেন যে, সিবিআই রাজনীতি করছে। চুক্তি নিয়ে তিনি তো বলেছেন যে, দরকারে ক্যাগ বা রেলওয়ে অডিট তদন্ত করুক। মিডিয়াই জলঘোলা করছে।
কিন্তু এতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্তুষ্ট হননি বলেই খবর। তিনি প্রকাশ্যে কোনও বিবৃতি না দিলেও মুকুলবাবুর ওপর হাড়ে-হাড়ে চটেছেন।