বড় বড় কথা বন্ধ করুন দিল্লির নেতারা, মোদী সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি মমতার
কয়েকজন নেতা কুৎসা রটাচ্ছেন আদিবাসীদের জন্য কিছু করিনি। তারা চোখ খুলে একবারঘুরে যান জঙ্গলমহলে। দেখে যান উন্নয়ন কাকে বলে।
'দিল্লির নেতারা শুধু বড় বড় কথা বলেন। কয়েকজন নেতা কুৎসা রটাচ্ছেন আদিবাসীদের জন্য কিছু করিনি। তারা চোখ খুলে একবার ঘুরে যান জঙ্গলমহলে। দেখে যান উন্নয়ন কাকে বলে।' বাঁকুড়ার জনসভা থেকে এই ভাষায় চ্যালেঞ্জ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনও তাঁরনিশানায় ছিল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
আদিবাসী উন্নয়ন হোক বা মিড ডে মিল- সবেতেই তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বিঁধলেন মোদী সরকারকে। প্রথমে তিনি খতিয়ান তুলে ধরে বলেন, 'আদিবাসীদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে ৪৫ বছর করে দেওয়া হয়েছে। বিনামূল্যে কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জঙ্গলমহলে স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা সর্বত্রই উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে।'
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, একটা শ্রেণি কুৎসা রটাচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে। টাকা দিয়ে এইসব অপপ্রচারও চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি নির্দেশ দেন, 'কেউ যদি টাকা দিয়ে মিথ্যে প্রচার চালায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানান। পুলিশ চটজলদি ব্যবস্থা নেবে ওইসব কুৎসাকারীদের বিরুদ্ধে।'
মিড ডে মিল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এখন কেন্দ্রীয় সরকার বলছে মিড ডে মিলের চাল দেবে না। আমরা বলেছি, আমরা জোগাড় করে নিতে পারব। মিড ডে মিলের চাল দিতে হবে না। ওরা বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু জানে না, বাংলায় ভাত তৈরি হয়, ওরা শত চেষ্টা করেও ভাতে মারতে পারবে না আমাদের।'
সেইসঙ্গে তিনি বার্তা দেন, 'সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। মা কখনও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বাছবিচার করে না। সাদা-কালো ভাগাভাগি করে না। মায়ের কাছে সবাই সমান। যারা ভাগাভাগি করে, তারা দেশকে ভালোবাসে না। সব ধর্ম, সব মত, সব মানুষকে নিয়েই আমাদের বৃহৎ সংসার।' তাঁর কথায়, 'আমরাকাউকে জ্বালিয়ে মারি না, কাউকে পুড়িয়ে মারি না। আমরা শান্তিরক্ষা করি।'
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে এখন মাওবাদী নেই। এখানে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আর রাজস্থানে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে মানুষকে। মারধর করার অধিকার তোমাদের কে দিয়েছে?' এ প্রশ্ন তুলে মমতা বলেন, 'এ রাজ্যে এরকম হয় না। ওরা শুধু বিশ্ববাংলা নিয়ে সমালোচনা করে। কেননা বাংলা নিয়ে ওরা গর্ব করতে শেখেনি, ওরা গর্ব করতে জানে না।'