গুরুংকে জোর ঝটকা মমতার! পাহাড়ে নয়া ‘প্রশাসক’ বিনয় তামাং
পাহাড়ে শ্রী ফেরাতে বিনয় তামাংয়ের উপরই ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমল গুরুংকে যেমন বার্তাও দিতে চেয়েছেন তিনি, তেমনই গুরুত্ব বাড়িয়েছেন বিনয় তামাংয়ের।
বিমল গুরুংকে জোর ঝটকা দিয়ে পাহাড়ে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠন করল রাজ্য। সেই বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মাথায় বসানো হল মোর্চার 'বিদ্রোহী' বিনয় তামাংকে। বুধবার নবান্নে জিটিএ-কে গৌণ করে এই বোর্ড গঠনের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিটিএ থেকে সবাই পদত্যাগ না করলে এই বোর্ড গঠনের প্রয়োজন হত না। পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্যই এই বোর্ড গঠন করা হল। জিটিএ আইনের ৬৫বি ধারায় এই বোর্ড গঠন। ন'সদস্যের এই বোর্ডে থাকবেন আটজন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও একজন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, নয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন বিনয় তামাং। ভাইস চেয়ারম্যান অনীত থাপা। এছাড়া বাকি সদস্যদের নেওয়া হয়েছে পাহাড়ের চতুর্দিক থেকে। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং ও মিরিক থেকে সদস্যদের নিয়েই তৈরি হয়েছে বোর্ড। বিধানসভার সদস্য হিসেবে এই বোর্ডে রাখা হয়েছে পাহাড়ের বিধায়ক অমর সিং রাইকে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে থাকবেন বরুণ রায়।
পাহাড়ে দীর্ঘ তিনমাস ধরে বনধ চলছে। অনির্দিষ্টকালীন বনধের জন্য পাহাড়ের উন্নয়ন শিকেয় উঠেছে। এই অবস্থায় পাহাড়ে শ্রী ফেরাতে বিনয় তামাংয়ের উপরই ভরসা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমল গুরুংকে যেমন বার্তাও দিতে চেয়েছেন তিনি, তেমনই গুরুত্ব বাড়িয়েছেন বিনয় তামাংয়ের।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর সরকার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাসী। পাহাড়ে এই মুহূর্তে ভোটের পরিবেশ নেই। সেই কারণেই বোর্ড গঠন করতে হল। জিটিএ ভেঙে না দিলে এই বোর্ড গঠনের প্রয়োজন হত না। জিটিএ থেকে গুরুংরা পদত্যাগ করায় নয়া বোর্ড গঠন করে পাহাড়ের বন্ধ থাকা কাজ শুরু করতে চাইছে রাজ্য।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে অনির্দিষ্টিকালীন বনধ শুরু করার পরই মোর্চার জিটিএ সদস্যরা পদত্যাগ করেন জিটিএ থেকে। এবং জিটিএ ভেঙে যায়। এরপরই বরুণ রায়কে অ্যা়ডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করে রাজ্য প্রশাসন। এবার নয়া বোর্ডেও তাঁকে রাখা হল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই স্পষ্ট হল দু-দিন আগে নবান্নে বিনয় তামাং ও অনীত থাপার হঠাৎ আসার কারণ।