মুখ্যমন্ত্রী-সহ ৩ বিধায়কের শপথ-বিতর্কের অবসান! শেষে রাজ্যপাল দিলেন মোক্ষম চাল
মুখ্যমন্ত্রী-সহ ৩ বিধায়কের শপথ-বিতর্কের অবসান! শেষে রাজ্যপাল দিলেন মোক্ষম চাল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার শপথ নেবেন বিধায়ক হিসেবে। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন আরও দুই তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু কোথায় হবে তাঁদের শপথ, তাঁদরে শপথ বাক্য কে পাঠ করাবেন? রাজ্যপাল না বিধানসভার অধ্যক্ষ? তা নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। সেই বিতর্কের অবসান হল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের টুইটে।
রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হিসেবে ৭ অক্টোবর বিধানসভায় শপথ নেবেন। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। রাজভবনে শপথ হলে অধ্যক্ষ যাবেন না বলেও জল্পনা চলছিল। তাই বিধানসভায় শপথ গ্রহণ হবে বলে জানানোর পর মঙ্গলবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইট করে জানিয়ে দেন, বিধানসভাতেই তিনি শপথবাক্য পাঠ করাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তিন বিধায়ককে।
মমতার শপথ-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যপাল টুইটে স্পষ্ট করে দেন, বিধানসভায় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও তিনিই পাঠ করাবেন শপথবাক্য। অর্থাৎ বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছ থেকে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করানোর অধিকার হরণ করে নিচ্ছেন। রাজভবন থেকে দেওয়া চিঠির বার্তা মতোই তিনি শপথ পাঠ করানোর কথা জানিয়েছেন টুইটেও।
মঙ্গলবার রাজভবনের চিঠি নিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বৈঠক করেন। তারপরই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে, রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়কের শপথ হলে তাঁরা উপস্থিত থাকবেন না। তারপরই জানিয়ে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী-সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ৭ অক্টোববর বিধানসভাতেই হবে। রাজ্যপালতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিধানসভায়।
এদিন রাজ্যপাল টুইট করে স্পষ্ট করে দিলেন, বিধানসভাতে গিয়ে তিনি শপথ বাক্য পাঠ করাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তিন বিধায়ককে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধায়ক পদে শপথ নেবেন আমিরুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। তাঁদের তিনজনকেই শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এতদিন বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করাতেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।
এবার উপনির্বাচনের আগে থেকেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কোথায় হবে, কে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন, তা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয় রাজভবন থেকে দিন সাতেক আগে বিধানসভার সচিবালয়ে আসা একটি চিঠিতে। সেই চিঠিতে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর অধিকার বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়।
রাজভবন প্রেরিত চিঠিতে লেখা হয়, এবার থেকে রাজ্যপাল বিধানসভার নবনির্বাচিত সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। রাজভবনের এই চিঠি নিয়ে সোমবার বিধানসভায় বৈঠকে বসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই বৈঠকের পর তাঁরা রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর শপথে অংশ নেবেন না বলে জানান। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর শপথের অনুষ্ঠান হবে। সেই অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আমন্ত্রণও জানানো হয়। তারপর রাজ্যপাল টুইট করে পাল্টা জানালেন, বিধানসভাতেই হবে শপথগ্রহণ, তবে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন তিনিই।