'মিডিয়ার চক্রান্ত', তাপস কাণ্ডেও সেই ভাঙা রেকর্ডই বাজালেন মমতা
আরও পড়ুন : 'আর কী চান, মেরে ফেলব ওঁকে?' তাপস পালের শাস্তি প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে চোখ রাঙানি মমতার
অবাক লাগল? তাহলে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে আপনার জ্ঞানভাণ্ডারে টান আছে। পার্কস্ট্রিট হোক বা কামদুনি, লাভপুর হোক বা সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিজেদের গায়ে যখনই আঁচ এসেছে তখনই একটাই অস্ত্র তুলেছেন মমতা। বলেছেন 'মিডিয়ার চক্রান্ত' এবারও তার অন্যথা হয়নি। কেন তাঁর দলের সাংসদ এমন মন্তব্য করলেন তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যাথা নেই দলনেত্রীর। তবে কে ওই ভিডিও ফুটেজটি জোগাড় করেছেন, এতদিন পরে কেন ওই ভিডিওটি দেখানো হল তা নিয়েই আওয়াজ তুলেছেন দিদিমণি।
তাপসের শাস্তি নিয়ে আলোচনা হয়নি বৈঠকে,ও তো নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
এই বৈঠক ঘিরে প্রথম থেকেই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী অভিযুক্ত সাংসদের এমন কদর্য মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেন কিনা সে দিকে সবার চোখ ছিল। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ অবশ্য আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে, এই চাপ দিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো, কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস, দলনেত্রীর মর্মাহত হওয়ার বিষয়টি ফলাও করে বলা, সবই লোক দেখানো। তৃণমূলের ইতিহাস বলছে, এমন ক্ষেত্রে তৃণমূল কখনওই দলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তি নেয়নি এবারও নেবে না। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি হল।
এদিনের বৈঠকে তাপস পালের শাস্তি নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। উপরন্তু তৃণমূলভবনের এদিনের এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কারা আসছেন-যাচ্ছেন তা যাতে সাংবাদিকরা দেখতে না পারেন তার জন্য প্রশাসনের সহায়তায় ব্যারিকেট তৈরি করে দেওয়া হয় যা নজিরবিহীন। তাপস পালকে শাস্তি দেওয়া তো দূরস্ত তৃণমূল সাংসদের কদর্য মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের জেরে মিডিয়াকেই দায়ি করলেন মমতা। আর এই মন্তব্য করে তিনি প্রমাণ করে দিলেন, আরাবুল, অনুব্রতর মতো তাপসের উপরও তাঁর আশীর্বাদের হাত রয়েছে। অতএব বিরোধীদের খুন করা, ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে ধর্ষণ করার মতো মন্তব্য করলেও ক্ষমা চেয়ে নিলেই হবে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, কোনও নেতা এমন ধরণের মন্তব্য যদি বাস্তবায়িত করে দেন তাঁর দায়ও কি মিডিয়ার উপরই বর্তাবে?