'রাজনীতি ছেড়ে দেব...', সিবিআই তল্লাশি শেষে কেন এমন হুঁশিয়ারি রাজ্যের মন্ত্রীর
কালিমালিপ্ত করতেই এই তল্লাশি অভিযান! এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আজ বুধবার ঘুম থেকে ওঠার আগেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। মন্ত্রীর পৌত্রিক বাড়ি সহ কলকাতার একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালান
কালিমালিপ্ত করতেই এই তল্লাশি অভিযান! এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। আজ বুধবার ঘুম থেকে ওঠার আগেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। মন্ত্রীর পৌত্রিক বাড়ি সহ কলকাতার একাধিক বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আআধিকারিকরা।
এমনকি রাজ্যের মন্ত্রীরা যে মেসে থাকেন সেখানেও পৌঁছে যান আধিকারিকরা। প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে জেরা করা হয় মন্ত্রী মলয় ঘটককেও। যদিও দীর্ঘ এই তল্লাসিতে তেমন কিছু পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু এই ঘটনার পরেই সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মলয় ঘটক। তাঁর দাবি, কোনও কিছু না জানিয়েই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এমনকি মলয়বাবুর দাবি, তিনি একজন রাজ্যের আইনমন্ত্রী। তাঁর বাড়িতে নানা ধরনের আইনের ফাইল রয়েছে। যেগুলি অনেকগুলি কনফিন্ডেশিয়াল। তেমন প্রত্যেকটি ফাইল সিবিআই আধিকারিকরা খুলে খুলে দেখেছেন বলে কার্যত অভিযোগ বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতার। পাশাপাশি একাধিক বাড়ির প্রসঙ্গে যে কথা সংবাদমাধ্যমে দেখানো হচ্ছে তা নিয়েও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।
মলয় ঘটকের দাবি, কলকাতায় সরকারি বাস ভবন ছাড়া তাঁর আসানসোলের বাড়িটি শরিকি সম্পত্তি৷ সেখানে তাঁর কাকা-পিসি সহ একাধিক শরিকের ভাগ রয়েছে। একটি বাড়ি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি মলয় ঘটকের। তবে লেক গার্ডেন্সের বাড়ি তাঁর ছেলে করেছে। তাতে ৮৮ লক্ষ টাকা লোন ব্যাঙ্কের রয়েছে বলে দাবি মন্ত্রীর। এই সংক্রান্ত তিনি সিবিআই আধিকারিকদের দিয়েছেন বলেই দাবি।
পাশাপাশি আরেকটি বাড়ি সেটি সরকারি কোয়ার্টার বলে জানিয়েছেন। এদিন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে কিছুয়টা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মলয়বাবু। বলেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সৈনিক। যতদিন বাঁচব এই দলটাই করব। তবে শুধুমাত্র কালিমালিপ্ত করতেই এই তল্লাশি বলে দাবি নেতার।
শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মন্ত্রী। বলেন, আসানসোলের বিজেপির কোনও নেতা কিংবা কর্মী ছাড়া কোনও সাধারণ মানুষ বলেন যে আমি কয়লার সঙ্গে যুক্ত তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। তবে তদন্তে অসহযোগিতা করা নিয়ে মলয় ঘটক জানান, যতবার ডেকেছে আমি গিয়েছি। আগামিদিনেই তদন্তে সবরকম সাহায্য করব। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে আসানসোলের ভোট কিংবা অন্যান্য সময়ে ডেকেছে। কাজে ব্যস্ত থাকার জন্যে যেতে পারিনি সেটা তদন্তকারীদের জানানো হয়েছে বলে দাবি।
তবে দীর্ঘ তল্লাশিতে তেমন কিছু পায়নি বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী। শুধু তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর মাত্র ১৪ হাজার টাকা তোলা ছিল। তা বাজেয়াপ্ত করার উৎসাহ সিবিআই আধিকারিকরা দেখাননি বলেই দাবি তৃণমূল নেতার।