ফের হাসপাতালে মদন মিত্র, কী দেখে 'ফিট সার্টিফিকেট' এসএসকেএমের? উঠছে প্রশ্ন
কলকাতা, ৩ নভেম্বর : নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই ফের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্যের সেরা হাসপাতালের অন্যতম এসএসকেএম।
মাসের পর মাস আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে যে মদন মিত্রকে প্রায় বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন এসএসকেএমের কর্তারা, সেই মদনবাবুকেই আদালতে জামিন পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে 'ফিট' ঘোষণা করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
এদিন দেখা গেল সেই 'ফিট' মদনবাবুকেই ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের ভর্তি করতে হল হাসপাতালে। তবে এবার অবশ্য মদনবাবু সরকারি হাসপাতালের বদলে শহরের এক নামী বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছেন।
এর আগে জেলের বদলে মাসের পর মাস মদনবাবু এসএসকেএমের কেবিন আটকে পড়েছিলেন। হাইপারটেনশন, টাইপ-টু ডায়বেটিস, ডায়বেটিক নেফ্রোপ্যাথি, সিওপিডি, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং মানসিক অবসাদের মতো জটিল নানা রোগের ফিরিস্তি শোনা গিয়েছিল চিকিৎসকদের মুখেও।
আর সেজন্যই বারবার জেরা করতে এসে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের। আদালতের নির্দেশ পেয়েও মামলায় বেশিদূর এগোতে পারেননি তদন্তকারীরা। এসএসকেএম হাসপাতালে যে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে মদনবাবু ছিলেন, তারা জেরা করার মতো অনুমতি দেননি সিবিআই বা ইডিকে।
এমনকী মদনবাবুর জামিনের আগের মুহূর্ত পর্যন্ত বোঝা যায়নি তিনি এতটাই 'ফিট' রয়েছেন যে বাড়ি যেতে পারবেন পরেরদিনই। অথচ সেটাই হয়েছে। কোনও কোনও মহল থেকে সরকাপি নির্দেশের কথা বলা হচ্ছে। নবান্নের নির্দেশেই কখনও মদনবাবুকে 'ফিট' বলতে হয়েছে তো কখনও 'আনফিট'।
আপাতত
এসএসকেএমের
চিকিৎসকেরা
নন,
অসুস্থ
বোধ
হওয়ায়
মদনবাবুকে
অ্যাম্বুলেন্সে
চাপিয়ে
এক
বেসরকারি
হাসপাতালে
নিয়ে
গিয়েছেন
পরিবারের
লোকেরা।
সেই
হাসপাতাল
মদনবাবু
সম্পর্কে
কী
রায়
দেয়
সেটাই
আপাতত
দেখার।
অন্যদিকে
সিবিআই
মদন
মিত্রের
জামিনের
বিরোধিতা
করে
এদিন
হাইকোর্টে
আপিল
করবে।
সেই
মামলায়
কি
রায়
হয়
সেদিকেও
চোখ
রয়েছে
সকলের।