দলকে না জানিয়ে রাজ্যের বাইরে যাওয়া যাবে না, বিধায়কদের কড়া নির্দেশ মমতার
২১ জুলাইয়ের আগে তৃণমূল ভবনে দলের বিধায়কদের ডেকে রীতিমত আচরণবিধি জারি করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়কদের ৬টি আচরণবিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
২১ জুলাইয়ের আগে তৃণমূল ভবনে দলের বিধায়কদের ডেকে রীতিমত আচরণবিধি জারি করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়কদের ৬টি আচরণবিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
এক,
দলকে
না
জানিয়ে
কেউ
রাজ্যের
বাইরে
যেতে
পারবেন
না।
দল
বদলের
হিড়িকে
যেভাবে
একের
পর
বিধায়ক,
কাউন্সিলর
দিল্লিতে
উড়ে
গিয়ে
বিজেপিতে
যোগ
দিয়েছেন
তাতে
রাজ্যের
বাইরে
কোনও
নেতা
যেতে
চাইলেই
সিঁদুরে
মেঘ
দেখছেন
তৃণমূল
নেত্রী।
সেকারণেই
শোভনের
দিল্লি
যাওয়া
নিয়ে
যে
জল্পনা
শুরু
হয়েছিল।
তার
আগেই
তিনি
শোভনের
কাছে
দূত
পাঠিয়েছিলেন।
একাধিক
কাউন্সিলর
এবং
বিধায়ক
দিল্লিতে
উড়ে
গিয়ে
দল
বদল
করেছেন।
সেটা
আটকাতেই
দলনেত্রীর
এই
নির্দেশ
বলে
মনে
করছে
রাজনৈতিক
মহল।
দুই, সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে চলার কড়া নির্দেশিকা দিয়েছেন তিনি। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই সংবাদ মাধ্যমের একাংশের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একাধিক সংবাদ মাধ্যমের একপেশে খবর প্রকাশ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। দলের নেতাদেরও এই নিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি। বিধানসভা ভোটের আগে সংবাদ মাধ্যমে কেউ দলের বিরুদ্ধে কোনও রকম মন্তব্য করে ফেললে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হবে, তাই আগে থেকেই গন্ডি কেটে দিয়েছেন তিনি।
তিন, জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে। লোকসভা ভোটে তৃণমূলের এই ফলাফলের জন্য দলের একাংশের জনসংযোগকে দায়ী করেছিলেন তিনি। মমতা দাবি করেছিলেন, মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের কথা সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে পারেননি জনপ্রতিনিধিরা। এই ভুল যাতে দ্বিতীয়বার না হয় সেকারণেই আগাম এই সাবধানতা বলে মনে করা হচ্ছে।
চার, বিরোধীদের সঙ্গে সরাসরি সংঙ্ঘাত এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে। এর অন্যতম কারণ লোকসভা ভোটের পর রাজ্যে যে ভাবে রাজনৈতিক হানাহানির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে বিজেপি সহজেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে শুরু করেছিল। সেই সুযোগ যাতে তারা আর না পায় সেকারণেই জনপ্রতিনিধিদের সরাসরি সঙ্ঘাত এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন:ঠ্যালার নাম বিজেপি! সিঙ্গুর প্রসঙ্গে মমতা এখন চাষীদের উপরে দায় চাপাচ্ছেন?]
পাঁচ,
প্রকাশ্য
আলটপকা
মন্তব্য
করা
যাবে
না।
বিধায়কদের
এই
বিষযে
ভীষণভাবে
সচেতন
থাকার
কড়া
নির্দেশ
দিয়েছেন
তিনি।
ছয়,
প্রতি
বিধানসভা
পিছু
চারজনের
একটি
কমিটি
গড়ে
দিয়েছেন
তৃণমূল
নেত্রী।
যাঁদের
মধ্যে
দুজন
বুথ
দেখবেন,
একজন
সোস্যাল
মিডিয়া
দেখবেন
এবং
একজন
বিধায়কদের
প্রোগাম
দেখবেন।
মমতার
এই
বৈঠকে
ছিলেন
না
রাজারহাট-
নিউটাউনের
বিধায়ক
সব্যসাচী
দত্ত।
[আরও পড়ুন: মমতার কথায় কংগ্রেসকে হারাতে তৃণমূলকে সমর্থন বিজেপির! মুকুলের দাবি ঘিরে জল্পনা ]