‘ভূতে’র বাড়ি জ্বলছে দাউদাউ আগুনে, চাঞ্চল্যকর ঘটনার নেপথ্য কারণ খুঁজতে প্রশাসন হিমশিম
‘ভূত’ রয়েছে বাড়িতে। চৌধুরীদের বসত বাড়িকে নিয়ে এলাকায় ছড়িয়েছিল অপবাদ। এরপর সেই ‘ভূত’ তাড়াতে গুনিন-ওঝা আনার পরামর্শ দিয়েছিল স্থানীয়রা।
'ভূত' রয়েছে বাড়িতে। চৌধুরীদের বসত বাড়িকে নিয়ে এলাকায় ছড়িয়েছিল অপবাদ। এরপর সেই 'ভূত' তাড়াতে গুনিন-ওঝা আনার পরামর্শ দিয়েছিল স্থানীয়রা। তা নিয়েই চরমে উঠেছিল দ্বন্দ্ব। অবশেষে বিতর্ক এমন পর্যায়েই পৌঁছল যে ক্ষিপ্ত প্রতিবেশীরা 'ভূতে'র বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল। চোখের সামনেই পুড়ল 'ভূতে'র বাড়ি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচোলের বলরামপুর গ্রামে।
বাড়িতে 'ভূত' থাকার অভিযোগ করে চড়াও হয়েছিল প্রতিবেশীরা। তারপর বাড়ির পাঁচ সদস্যকে মারধর করা হয়। সেখানেই শেষ নয়, শেষপর্যন্ত অগ্নিসংযোগ করে শান্ত হল প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার নেপথ্যে আদৌ 'ভূত' রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।
এই বলরামপুর গ্রামে দীর্ঘদিনের বাস নরসিংহ চৌধুরীর। সম্প্রতি প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, ওই বাড়িতে 'ভূত' রয়েছে। নরসিংহবাবুকে ওঝা-গুনিন জেকে এনে 'ভূত' তাড়াতে হবে- এমনই নিদান দেন গ্রামের একাংশ। কিন্তু সেই নিদান মেনো নেননি স্থানীয়রা। তার জেরেই ঘটে যায় সাংঘাতিক-কাণ্ড।
রবিবার রাতে স্থানীয়রা চড়াও হয়ে নরসিং চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী-ছেলেসহ বাড়ির পাঁচ সদস্যকে মারধর করে। গ্রামেরই কিছু মানুষ মধ্যস্থতা করেন। আপাতত নিবৃত্ত করেন মারমুখী স্থানীয়দের। স্থানীয়দের প্রহারে নরসিংহবাবুদের প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয় হাসপাতালে গিয়ে।
এরপর সোমবার গ্রামে ফিরে তাঁরা দেখেন তাঁদের বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন নরসিংহ চৌধুরী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা ঘটনার পর থেকেই এলাকাছাড়া। পুলিশ তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।