মেদিনীপুরে ধর্ষণ করে খুন শিশুকে, বর্ধমানে কিশোরীকে অ্যাসিড
ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা চলছে যথারীতি! সাত বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করার পর খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হল গাছের ডালে। অন্যদিকে, এক কিশোরীকে ছুড়ে মারা হল অ্যাসিড। ঘটনার ঘনঘটায় সারা দিন উত্তাল থেকেছে রাজ্য।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অন্তর্গত কালীরহাটে। এখানে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় গতকাল রাতে। সকালে গাছ থেকে ঝুলন্ত শব উদ্ধার হয়। অভিযোগ, বাচ্চা মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে পড়শি রতন দাসের ঝামেলা চলছিল। প্রতিশোধ নিতে প্রৌঢ় রতন দাসই এই কাণ্ড ঘটায়। বৃহস্পতিবার সকালে জনতা যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায় অভিযুক্তের বাড়িতে। তার পর ঘর থেকে টেনে বের করে এনে শুরু হয় গণপিটুনি। তাকে অপকর্মে সহায়তা করার অভিযোগে বেধড়ক পেটানো হয় আরও দু'জনকে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে মূল অভিযুক্ত রতন দাস মারা যায়। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে উত্তরপ্রদেশের বদাউনেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। দুই কিশোরীকে ধর্ষণের পর খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান জেলার পারাপুকুরে। এক কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিল এলাকার কয়েকজন যুবক। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রত্যাখ্যান করার 'শাস্তি' দেওয়া হয় আজ সকালে। জোর করে তিনজন যুবক বাড়িতে ঢুকে ওই কিশোরীর গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাড়ার লোক জড়ো হয়ে গেলে তারা পাঁচিল টপকে পালায়। ওই কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ বলেন, "দিনের পর দিন রাজ্যে যা ঘটছে, তা চিন্তার বিষয়। আমরা কোনদিকে এগোচ্ছি, তা ভেবে গা শিউরে উঠছে।" আরও এক ধাপ এগিয়ে মীরাতুন নাহার বলেছেন, "আগেও যে এমন ঘটনা ঘটত না, তা নয়। কিন্তু এখন তা বেড়েই চলেছে। পুলিশ-প্রশাসন বা রাজ্যের প্রধান প্রশাসকের কোনও মাথাব্যথা নেই। অনেকে ধর্ষণের কারণ হিসাবে মেয়েদের পোশাককে দায়ী করে। জানতে ইচ্ছে করছে, বাচ্চাটির ক্ষেত্রেও কি একই কথা খাটে? একটি সাত বছরের শিশুকে দেখে কীভাবে মনে লালসা জাগে, বোধগম্য হচ্ছে না।"