সিল করা বাড়ি থেকে উধাও একাধিক মূল্যবান জিনিস, CBI-র বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় চুরির অভিযোগ লালনের স্ত্রীর
সিল করা বাড়ি থেকে উধাও একাধিক মূল্যবান জিনিস, CBI-র বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় চুরির অভিযোগ লালনের স্ত্রীর
সিসিআইয়ের বিরুদ্ধে এবার চুরির অভিযোগ দায়ের করলে লালন শেখের স্ত্রী। রামপুরহাট থানায় লালন শেখের স্ত্রী সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে সিবিআইয়ের সিল করা তাঁদের বাড়ি থেকে উধাও একাধিক মূল্যবান জিনিস। এর আগে লালন শেখকে খুন করা হয়েছে বলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন লালন শেখের স্ত্রী।
সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে FIR
এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করলেন লালন শেখের স্ত্রী। এবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনেছেন তিনি। রামপুরহাট থানায় এইআইআর দায়ের করেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন বগটুই কাণ্ডের পর যে বাড়ি সিল করে দিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। সেই বাড়ি থেকে একাধিক জিনিস পাচ্ছেন না তাঁরা। বহু মূল্যবান জিনিস তাঁরা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। সিবিআইয়ের জন্যউ এই জিনিস গুলি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন লালন শেখের স্ত্রী।
সিপিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ
লালন শেখের দেহ উদ্ধারের পর লালন শেখের স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন সিবিআই তাঁর স্বামীকে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল শৌচাগারে। ঘটনার পরের দিনই রামপুরহাট থানায় সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন লালন শেখের স্ত্রী। এই নিয়ে মামলা হাইকোর্টে পর্যন্ত গড়িয়েছে। কীভাবে ঘটল এই ঘটনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন রামপুরহাট থানার পুলিশ। একই সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডিও। নবান্নের পক্ষ থেকে সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিবিআইকে চিঠি সিআইডির
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে সিআইডি। রবিবার এই নিয়ে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছেন সিআইডির তদন্তকারীরা। তাঁরা জানতে চেয়েছেন, লালন শেখের দেহ উদ্ধারের সময় কে প্রথম দেখেছিলেন? লালন শেখের উপরে নজরদারির দায়িত্বে কে ছিলেন? তদন্তকারী অফিসাররা ঘটনার দিন কোথায় ছিলেন। রামপুরহাটের ক্যাম্প অফিসে ঘটনার দিন কারা ছিলেন। এরকম একাধিক প্রশ্ন জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন সিআইডি অফিসাররা।
হাইকোর্টে মামলা
লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এক আইনজীবী। সেই মামলায় ৭ সিবিআই অফিসারকে রক্ষা কবচ দিয়েছে হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, এই সাত তদন্তকারী অফিসার অন্য একাধিক মামলার তদন্তে রয়েছে। কাজেই তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হলে সেই সব ঘটনার তদন্ত ব্যহত হতে পারে। সেকারণে এখনই এই সাত সিবিআই অফিসারকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। তবে তদন্তকারীরা তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবেন।
লালন শেখের দেহ প্রথমে কে ঝুলন্ত অবস্থা দেখেছিলেন? জানতে চেয়ে CBI-কে চিঠি CID-র