গণনা কেন্দ্রের বাইরে জারি ১৪৪ ধারা, চলছে ড্রোনের নজরদারি! ১৪৪টি ওয়ার্ডের ৯০০ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ শুরু
ভোট গণনা শুরু কলকাতা পুরসভার ১৬টি বরোর ১৪৪টি ওয়ার্ডের। প্রাথমিক ভাবে পোস্টাল ব্যালটে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। এরপরেই ইভিএমগুলি খোলা হবে। এমনটাই জানা যাচ্ছে। এদিন প্রায় ৯০০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে।

তালিকায় থাকা ফিরহাদ হাকিম, অতিন ঘোষ, কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক হেভিওয়েট নেতার ভাগ্য নির্ধারন হবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ১৪৪টি ওয়ার্ডের জন্য ১১টি কেন্দ্রে গণনা শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকটি রাউন্ডে এই গণনা হবে।
গণনা কেন্দ্রগুলি কড়া নিরাপত্তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপ্যাল রিটার্নিং অফিসার। অন্যদিকে কেন্দ্রগুলিতে কড়া কোভিড বিধি পালন করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকছে। ২০০ মিটারের মধ্যে এই ধারা জারি থাকছে।
১১টি কেন্দ্রে গণনা সুনিশ্চিত করতে মোট তিন হাজারের বেশি পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কারোর হাতে বন্দুক এবং লাঠি রয়েছে। ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারদের নেতৃত্বে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। এছাড়াও গণনা কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তায় আরও বেশ কয়েকটি সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকছে।
যেমন থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম, ফ্লাইং স্কোয়াড এবং রিজার্ভ পুলিশ। একেবারে ত্রিস্তরিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সবরকম ভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন করোনা বিধি বজায় রাখার কথা বললেও বিজয় মিছিলে কোনও নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়নি। তবে কাউন্টিং এজেন্টরা মোবাইল ফোন নিয়ে গণনাকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে গণনা কেন্দ্রগুলির বাইরে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে সমস্ত রাজনৈতিকদলের প্রতিনিধিদের।
তবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের সংখ্যাই বেশি। গণনা কেন্দ্রের মধ্যে চলে এসেছেন তৃণমূল প্রার্থীরাও। তবে বেশ কয়েকজন বাড়ি থেকে পুরো গণনা মনিটারিং করছেন। পাশাপাশি তৃণমূলের তরফে বিজয় মিছিলেরও প্রস্তুতি চলছে। পুরবোর্ড যে তাঁরাই গঠন করছে কার্যত তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল নেতারা। তবে জেতার মার্জিন নিয়ে চিন্তায় প্রার্থীরা।
তবে তৃণমূলের দাবি, এবার তাঁরা ১৩৫টিরও বেশি আসন পাবে। ধারে কাছে থাকতে পারবে বিরোধীরা। যদিও এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের দাবি, ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। অবাধ ছাপ্পা এবং সন্ত্রাস হয়েছে। ফলে এই ভোটের ফলাফল কোনও ধরার কিছু নেই।
অন্যদিকে কালীঘাটের বাড়িতে বসেই ভোট গণনা মনিটারিং করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
