দ্য হেগে ইউএনও-র মঞ্চে মমতার ‘কন্যাশ্রী’কে আজ কুর্নিশ জানাবে বিশ্ব
কন্যাশ্রী প্রকল্প বাংলায় মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়িয়ে দিয়েছে এই ক’বছরেই। তা সমাদৃত হয়েছে দেশেও। এবার বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতির অপেক্ষা।
বাংলার 'কন্যাশ্রী' বিশ্বের দরবারে তুলে ধরে সেরার সম্মান কি ছিনিয়ে আনতে পারবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? অপেক্ষা আর কিছুক্ষণের। তারপরেই জানা যাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জন-পরিষেবা সম্মেলনে সেরার শিরোপা বাংলার মাথায় উঠল কি না। বিশ্বের দরবারে জন পরিষেবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাস কন্যাশ্রী প্রকল্প।
বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডের দ্য হেগে শুরু হয়েছে এই সন্মেলন। প্রথম দিনে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ছিলেন সমাজকল্যাণ দফতরের সচিব রোশনি সেনও। তিনি কন্যাশ্রীর সাফল্য তুলে ধরেন বিশ্বের দরবারে। আর শুক্রবার জন পরিষেবা সম্মেলনের শেষদিনে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানাবেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প বাংলায় মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার কীভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে এই ক'বছরে।
শুধু শিক্ষার হার বাড়ানোই নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নাবালিকা বিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলছুটের সংখ্যাও কমানো গিয়েছে। প্রায় ৪০ লক্ষ স্কুলপড়ুয়াকে স্কলারশিপেরও সুবিধা দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। এই সংক্রান্ত পুস্তিকা বৃহস্পতিবারই ভিন দেশের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেখানে কন্যাশ্রীর যাবতীয় পরিসংখ্যান দেওয়া রয়েছে। আর এই পুস্তিকা সংগ্রহে ভিন দেশের প্রতিনিধিদের আগ্রহও ছিল তুঙ্গে। সেই কারণেই কন্যাশ্রীর হাত ধরে বাংলা সেরার মর্যাদা ছিনিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সন্ধ্যায় ১০-১২টি দেশের প্রতিনিধিদের সামনে বক্তব্য পেশ করবেন। সমাজকল্যাণে তাঁর সরকারের কী ভূমিকা তা সবিস্তারে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার জন্য তিনি সময় পাবেন না। তার জন্য বরাদ্দ মাত্র তিন থেকে চার মিনিট। কেন না সম্মেলনের জন্যই বরাদ্দ মাত্র ৪৫ মিনিট। প্রত্যেই তাই তিন থেকে চার মিনিটের মতো সময় পাবেন। সেই কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সম্মেলনে উপস্থিত অন্য দেশের মন্ত্রীদের লিখিত আকারে জানাবেন তার সরকারের আমলে কী কাজ হয়েছে।