পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী রাজ্যপাল কল্যাণ সিং?
বর্তমান রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন গতকালই পদত্যাগ করেছেন। তবে ৪ জুলাই পর্যন্ত তিনি রাজভবনে থাকছেন। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের বিদায় উপলক্ষে ৩ জুলাই রাজভবনে একটি ছোট্ট সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য গণ্যমান্যরা থাকবেন।
কল্যাণ সিং এ রাজ্যের রাজ্যপাল হয়ে আসতে পারেন, এই খবর শোনার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনীতিক মহলে। কারণ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সঙ্ঘ পরিবারের একনিষ্ঠ ভক্ত কল্যাণ সিং কট্টরপন্থী হিসাবে পরিচিত। এম কে নারায়ণনের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক ছিল রাজ্য সরকারের, তাঁর সঙ্গে আদৌ সেটা হবে না বলেই ধারণা। এ কারণেই রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সব সময় চাপে রাখতে কল্যাণ সিংকে রাজ্যপাল করে পাঠানো হচ্ছে। এটা আন্দাজ করেই তৃণমূল কংগ্রেস তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সংঘাতের রাস্তায় যেতে তৈরি। সত্যিই যদি সেটা হয়, তা হলে রাজ্যবাসীর পক্ষে তা সুখের হবে না। কারণ নানা প্রশাসনিক বিষয় জটিলতায় পড়ে আটকে যাবে।
এদিকে, এম কে নারায়ণনের বিদায়ে খোলাখুলি দুঃখ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি একজন অভিভাবককে হারালাম। খুবই ব্যথিত। বিরোধী দলনেতা থাকার সময়ও বহুবার রাজভবনে গিয়েছি। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর এই প্রস্থান রাজ্যের পক্ষে কতটা মঙ্গলজনক হবে, জানি না। রাজ্যের কর্মকাণ্ডে তাঁকে আর পাওয়া যাবে না। তবে প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।"
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "মেয়াদ শেষের আগেই কেন উনি চলে যাচ্ছেন, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। হয়তো তাঁর মনে হয়েছে, কেন্দ্রে যে সরকার তাঁকে নিয়োগ করেছিল, তারা আর নেই। ফলে সরে যাওয়া উচিত। তবে তিনি নিরপেক্ষভাবে কাজ করতেন, এটা ঠিক। ভালো মানুষ ছিলেন।"