তরঙ্গপুরের ঘোষ বাড়ির পুজোয় জড়িয়ে আছে দেশ ভাগের ইতিহাস
কালিয়াগঞ্জের ঘোষ বাড়ির পুজো আরও এলাকায় বিশেষ। ৭২ বছর আগে পুজোর প্রচলন করেছিলেন সতীশ চন্দ্র ঘোষ। বাড়ির পুজো হলেও দেশ ভাগের যন্ত্রণা ভুলতে বারোয়ারি পুজোর মতোই অবারিত দ্বার ছিল ঘোষবাড়ির পুজোয়।
কালিয়াগঞ্জের ঘোষ বাড়ির পুজো আরও এলাকায় বিশেষ। ৭২ বছর আগে পুজোর প্রচলন করেছিলেন সতীশ চন্দ্র ঘোষ। বাড়ির পুজো হলেও দেশ ভাগের যন্ত্রণা ভুলতে বারোয়ারি পুজোর মতোই অবারিত দ্বার ছিল ঘোষবাড়ির পুজোয়। সেই আমেজ আজও বজায় আছে।
১৯৪৭ সাল। একদিকে স্বাধীনতার আনন্দ অন্যদিকে দেশ ভাগের যন্ত্রণা। দাঙ্গার আবহ তখন কালিয়াগঞ্জ, রাধিকাপুর, তরঙ্গপুর সহ আশপাশের এলাকায়। ভীত সন্ত্রস্ত বাসিন্দারা দিন গুনছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির আশঙ্কায় প্রহর গুণছিলেন তাঁরা। সেবছরই দেবী দুর্গার কাছে তাঁরা প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত নেন।
এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি সতীশ চন্দ্র ঘোষ নিজের বাড়িতে দূর্গাপুজোর সূচনা করেন । এই পুজো আজও ঘোষ বাড়ির পুজো বলেই পরিচিত। বাড়ির পুজো হলেও এলাকার বাসিন্দাদের ছিল সেখানে অবারিত দ্বার। তাঁরা সকলেই বাড়ি পুজোয় অংশ নিতেন। সেই প্রথা এখনও প্রচলিত আছে।
সতীশ চন্দ্র ঘোষের নাতি তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অসীম ঘোষ বলেন। দেশ ভাগের মর্মান্তিক অভিজ্ঞতার সাক্ষী বহন করে আসছে তাদের বাড়ি এই পুজো। বাড়ির পুজো হলেও এই পূজো প্রথম থেকেই বারোয়ারী পূজোর আকার নিয়েছে। এলাকার সাধারন মানুষ এই পুজোতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পুজোর দিনগুলিতে বহু মানুষের সমাগম ঘটে।
[ ২০১৯ দুর্গাপুজোয় খিদিরপুর পল্লী শারদীয়া এবার সেজে উঠছে 'ব্যারিকেড' থিমে]