সামান্য কচুরি বেচে কোটি টাকা আয়, শেষে পড়লেন আয়করের খপ্পরে
রাস্তার খাবার বিক্রেতাদের আয় তেমন নয়। এমনটাই মনে করা হয়। কিন্তু যাঁরা আলিগড়ের সীমা সিনেমা হলের কাছে থাকা 'মুকেশ কচুরি'-তে খেতে গিয়েছেন, তাদের কাছে এই চিত্রটি অবশ্য অন্যরকমের। সুস্বাদু কচুরি বিক্রি করে বিক্রেতা কোটিপতি হয়েছেন। তবে এবার পড়লেন আয়করের খপ্পরে। আয়কর দফতরের হিসেবে কচুরি ও সিঙারা বিক্রি করেন কোটিপতি হয়েছেন 'মুকেশ কচুরি'-র মালিক। প্রতিদিনের বিক্রি হিসেব করে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আলিগড়ের সীমা সিনেমা হলের কাছে থাকা 'মুকেশ কচুরি'-তে প্রতিদিনই ভিড় থাকে। মেনু বড় না হলেও স্থানীয়দের কাছে এই দোকানের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, খাবার বেশ সুস্বাদু। রাজ্যে থাকা আয়কর দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছিল। এরপরেই দোকানের প্রতিদিনের হিসেবের ওপর নজরদারি শুরু করে আয়কর বিভাগ।
আয়কর দফতর সূত্রে খবর, আশপাশের দোকান থেকে নজরদারি চালানো শুরু হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কোন সময়ে কত বিক্রি, তার ওপর নজরদারি করেন আয়কর কর্মীরা। তাদের হিসেব অনুযায়ী, মেনু ও গ্রাহকের নিরিখে প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৫০ প্লেট করে বিক্রি হয়। এর ওপর ভিত্তি করে আয়কর আধিকারিকরা দেখেন মুকেশের বাৎসরিক আয়ব্যয় দেড় কোটি টাকার মতো।
মুকেশ গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স(জিএসটি)-র অধীনে নিজের দোকানকে নথিভুক্ত করাননি। তিনি আয়করও দেননি কোনও দিন। ফলে তাঁকে নোটিশ পাঠানো হয়।
জবাবে মুকেশ বলেছেন, ট্যাক্সের দায় সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারনা নেই। কেননা তাঁর দোকানটি অতি সাধারণ। গত বারো বছর ধরে তিনি ও তাঁর পরিবার এই দোকান
চালাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন মুকেশ। তাঁর অভিযোগ, এই অভিযোগ করেছেন, এলাকার কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীই।