বাংলায় বিজেপি কর্মীরা ভাল নেই! জয়প্রকাশের উত্তরে শমীক বললেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবে দল
বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ! শোকজের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাময়িক বহিস্কার জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। কার্যত দুই নেতার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্রোহীদের বড় বার্তা দিতে চাইলেন সুকান্ত মজুমদাররা। উল্টে সাংবাদিক বৈঠক করে
বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ! শোকজের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সাময়িক বহিস্কার জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। কার্যত দুই নেতার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্রোহীদের বড় বার্তা দিতে চাইলেন সুকান্ত মজুমদাররা। উল্টে সাংবাদিক বৈঠক করে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তাঁরা।
এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাকে খেলতে পাঠানো হয়েছে তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও সরাসরি ছুঁড়ে দিলেন চ্যালেঞ্জ। যা নিয়ে আরও অস্বস্তি বাড়ল বঙ্গ বিজেপিতে।
একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য
এদিন জয়প্রকাশ শুরু থেকেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন। বঙ্গ বিজেপি তো বটেই, কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন। দলের পুরানো কর্মীদের কোনও সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ জয়প্রকাশের। এমনকি ২০১৮ সালে যারা বঙ্গ বিজেপিকে ১৮টা আসন এনে দিল তাঁদেরকেও সরিয়ে দেওয়া হল বলে বিস্ফোরক অভিযোগ। যে কমিটি নিয়ে এত বিরোধ তা নিয়েও এদিন মন্তব্য করেন রীতেশ তিওয়ারি।
কোনও বিদ্রোহ থামানো যাবে না
জয়প্রকাশ বলেন, এভাবে দল থেকে সরিয়ে কোনও বিদ্রোহ থামানো যাবে না। জেলা জেলায় এই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি তাঁর। বিদ্রোহী বিজেপি নেতার মতে, বাংলায় বিজেপি কর্মীরা ভাল নেই। পুরানো কর্মীদের নানা ভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে। একের পর এক নেতা দল ছাড়ছে। তাতে ক্ষতি হচ্ছে দলেরই মত তাঁর। জেলা কমিটি তৈরি করা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
তবে জয়প্রকাশের দাবি, বিক্ষোভ এড়াতে নেতাদের চুপ রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নাম না করে এদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও আক্রমণ শানান বিদ্রোহী দুই নেতা। বলেন, "মাত্র আড়াই বছর রাজনীতিতে এসেছেন সভাপতি। প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতারা আজ রাজ্য বিজেপিতে ব্রাত্য।
পিকনিক সারছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
একদিকে যখন বিজেপিতে এহেন ডামাডোল অন্যদিকে তখন নিজের কেন্দ্রে পিকনিক সারছেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দলের নেতা-করমীদের সঙ্গে মাছ ধরে-খাওয়া দাওয়া করে সময় কাটাচ্ছেন। এই বিষয়ে যেন নজর দিতেই নারাজ তিনি। তবে এদিন জয়প্রকাশের বক্তব্যের মাঝে একাধিকবার দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ এসেছে।
ততবার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে
তিনি বলেছেন, লোকসভাতে যারা ১৮টি আসন এনে দিল তাঁদেরকেই বিধানসভা ভোটে সরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু হারের পর একটা দল কোনও পর্যালোচনা করা হয়নি বলেও অভিযোগ। যতবার তিনি এই বিষয়ে বলতে গিয়েছেন ততবার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার।
মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নেই কেন?
অন্যদিকে, রাজ্য কমিটিতে কোনও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ নেই। আর তা কেন নেই? মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন জয়প্রকাশরা। যদিও দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলেই দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। তিনি জানিয়েছেন, সমস্যা কাটিয়ে সবাইকে নিয়ে চলে বিজেপি, 'প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর থাকলেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে দল।