অনেক পর্যটনস্থল, চা বাগান যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারে, রাজস্ব হারাবে জলপাইগুড়ি
আরও
পড়ুন:
২৫
জুন
থেকে
পশ্চিমবঙ্গের
২০তম
জেলা
হচ্ছে
আলিপুরদুয়ার
আরও
পড়ুন:
রাজনীতির
কারণেই
ভাগ
জলপাইগুড়ি
জেলা?
উঠছে
প্রশ্ন
জলপাইগুড়ি ও মাল মহকুমা নিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভক্ত জলপাইগুড়ি জেলা। আর আলিপুরদুয়ার মহকুমার সাতটি ব্লক নিয়ে গড়ে উঠছে আলিপুরদুয়ার জেলা। এতদিন জলপাইগুড়ির যা গর্ব ছিল, সেই পর্যটন শিল্পের অর্ধেকই চলে যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারের দখলে। জলপাইগুড়ির 'রত্ন' জলদাপাড়া অভয়ারণ্য এবং বক্সা পাহাড় চলে যাচ্ছে নবগঠিত জেলায়। শুধু কী তাই! উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত পর্যটনস্থলগুলির অনেকগুলি ঢুকে যাচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলায়। জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া, মাদারিহাট, হাসিমারা, নলরাজার গড়, রায়মাটাং, টোটোপাড়া ইত্যাদি ঢুকে যাচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। এর ফলে পর্যটন বাবদ রাজস্বের একটা বড় অংশ হারাবে জলপাইগুড়ি। যে জয়গাঁ সীমান্ত দিয়ে ভারত-ভুটান বাণিজ্য চলে, তাও পাচ্ছে আলিপুরদুয়ার। ফলে এই বাণিজ্য বাবদ যা আয় হত, এখন সবটাই হারাবে জলপাইগুড়ি। সঙ্কোশ, রায়ডাক, তোর্সা এবং কালজানি নদীর জলসম্পদ করায়ত্ত হচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলার। অবশ্য গরুমারা অভয়ারণ্য, চাপড়ামারি, মূর্তি, সামসিং ইত্যাদি পর্যটনস্থলগুলি রইল জলপাইগুড়ি জেলাতে।
এ তো গেল পর্যটনের কথা! রাজস্বের আর একটি উৎস, চা বাগানও ভাগাভাগি হয়ে যাচ্ছে। অবিভক্ত জলপাইগুড়িতে চা বাগানের সংখ্যা ছিল ১৫৮টি। আলিপুরদুয়ার আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তা হচ্ছে ৯১টি। অর্থাৎ ৬৭টি চা বাগান চলে যাচ্ছে নবগঠিত জেলায়।
রাজস্ব হারানোর এই আশঙ্কা মেনে নিয়েছেন জলপাইগুড়ি জেলার ব্যবসায়ীরা। ক্ষুদ্র চা চাষী সমিতির জেলা সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেছেন, "এই বিভাজনে আমাদের ক্ষতি হল। জলপাইগুড়ি সারা বিশ্বে প্ল্যান্টেশন ডিস্ট্রিক্ট বলে পরিচিত। ৯১টা চা-বাগান নিয়ে সেই খ্যাতি কি আর থাকবে?" পর্যটন শিল্পে জড়িতরা জানাচ্ছেন, যত লোক সারা বছর জলপাইগুড়িতে ঘুরতে আসে, তাদের এক-তৃতীয়াংশই আসে জলদাপাড়া আর বক্সা-জয়ন্তী ঘুরতে। সেই রোজগার এ বার হারাতে হবে 'অঙ্গহানি' হওয়া জলপাইগুড়ি জেলাকে।