মমতাকে আচার্য কেন, রাজ্যপাল করা হোক! ব্রাত্য বসুকে নিশানা রাজ্যপাল ধনখড়ের
শিক্ষামন্ত্রী (Education) ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) আচার্য (Chancellor) করা নিয়ে মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল (Governor) জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এদিন দার্জিলং-এ পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করবেন, তা উনি ওঁকে রাজ্যপালই (Governor) করে দিন না।

আচার্য-উপাচার্যরা বৈঠকে না আসায় কটাক্ষ
রাজ্যপাল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য এবং উপাচার্যদের বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই রাজভবনের ডাকা বৈঠকে যাননি। যা নিয়ে শুক্রবার টুইট করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মমতার সরকারের আমলে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় ভয়াবহ অবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থায় সংগঠন বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগ করে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য ও উপাচার্যরা বৈঠকে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

করোনার কারণ দেখিয়ে আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান
প্রসঙ্গত ২০ ডিসেম্বর শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক আলোচনার জন্য রাজ্যপাল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন আচার্য ও উপাচার্যের বৈঠক ডেকেছিলেন। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য ও উপাচার্যরা রাজ্যপালকে সম্মিলিতভাবে চিঠি দিয়ে জানান, ওমিক্রন পরিস্থিতির কারণে তাঁরা রাজভবনে যেতে পারছেন না। পাল্টা রাজ্যপাল বলেছিলেন, রাজভবনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি ২৩ ডিসেম্বর ফের সবাইকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু কেউই না আসায় রাজ্যপাল রাজভবনে ফাঁকা আসনের ছবি তুলে ধরে টুইট করেন।

আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার ভাবনা
এর পাল্টা কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল কোনও সহযোগিতা করেন না। ফাইল আটকে রাখেন। আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে আসা যায় কিনা তা নিয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। রাজ্যপালকে নিশানা করে ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, উনি এরকম করলে, কিছু দিনের জন্য ওঁর বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যান্সেলর করা যায় কিনা তা ভেবে দেখা হবে।

ব্রাত্য নিয়েছিলেন কেরলের বাম সরকারের উদাহরণ
রাজ্যে ব্রাত্য বসু যতই বাম বিরোধী হন না কেন, উদাহরণ হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন কেরলের বাম সরকারের কথা। সেখানকার রাজ্যপালের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথাও তিনি উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত কেরল সরকারের সঙ্গে বিরোধের কারণে সেখানকার রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান বলেছেন, রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য়ের আসনে যেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে আনা হয়।
তবে এই রাজ্যে রাজ্য-রাজ্যপাল বিরোধী নতুন কিছু নয়। জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই সংঘাত লেগেই আছে। এবিষয়টিও অন্যতম সংযোজন হয়ে থাকল।
Weather Update: মেঘলা আকাশের সঙ্গে রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি! একনজরে শীতের বাংলায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস