হাতির দাঁত সহ দুই আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারী গ্রেফতার উত্তরবঙ্গে
কালিম্পঙের মংপু থেকে হাতির দাঁত সহ দুই আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করল বনবিভাগের উত্তরবঙ্গের স্পেশাল টাস্কফোর্স। উদ্ধার হওয়া হাতির দাঁতটি ৫০০ গ্রাম ওজনের। এছাড়া একটি চার চাকার ছোট গাড়ি এবং কিছু বিদেশি মুদ্রা ও কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে টাস্ক ফোর্স। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত শোভা তামাং এবং সোম শেরিং তামাং। দুই জনেরই বাড়ি দার্জিলিঙে। অভিযুক্তরা আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত। চক্রটি বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার করে। হাতির দাঁতটি নেপালে পাচারের মতলব ছিল সেখান থেকে হাতবদল হয়ে চীনে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়েছিল পাচারকারীরা। এদিন তাদের জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হলে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বনদফতর জানিয়েছে, এই মহিলা চোরাচালানকারিকে দীর্ঘদিন খুঁজছিল বনদফতর। এর আগেও একাধিকবার বার তাকে ধরার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছে তারা। একটি বড়ো পাচার চক্র এর পেছনে রয়েছে। বেশ কিছু পাচারকারী এই ডেরায় ছিল এবং তাদের কাছে জীবন্ত প্যাঙ্গোলিনও ছিল। বনবিভাগের হানার খবর পেয়েই পাচারকারিরা সেই প্যাঙ্গোলিন নিয়ে পালিয়ে যায়। ধৃত মহিলার বাড়ি দার্জিলিংয়ে হলেও তার সিকিম, নেপাল, ভুটানেও আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রয়েছে। সেই সব জায়গার সমস্ত রকম যোগাযোগ নম্বর রয়েছে তার কাছে।
আরও জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে মাল নিয়ে চীন পর্যন্ত এদের চোরাচালানের একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছে গরম জলে প্যাঙ্গোলিন ফেলে মেরে ফেলা হয়। তারপর আঁশ ছাড়িয়ে মাংস বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে তারা।
গোপন সূত্রের খবর পেয়ে বনদপ্তর জানতে পেরেছে, লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সহ বন্যপ্রানীর দেহাংশ পাচারের কাজে মহিলাদের যুক্ত করা হয়। মহিলাদের যুক্ত করার ফলে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর আগেও ব্যাঙ্ককের একজন মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।