মংপুতে নির্মীয়মাণ আইটিআই ভবনে আগুন, হিংসার মোকাবিলায় কড়া দাওয়াই মমতার
শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে গোলমালের খবর এলেও, কোথাও বড়সড় গণ্ডগোল পাকাতে পারেননি মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। হিংসা ছড়াতে তাই মোর্চা ‘নির্জন’ মংপুকে বেছে নেয়।
পাহাড়ে মোর্চা ফের শুরু করল জঙ্গি আন্দোলন। আপাত শান্ত মংপুতে নির্মীয়মাণ আইটিআই ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টায় নামল মোর্চা। শুক্রবার সকাল থেকে বিক্ষিপ্তভাবে গোলমালের খবর এলেও, কোথাও বড়সড় গণ্ডগোল পাকাতে পারেননি মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। হিংসা ছড়াতে তাই মোর্চা 'নির্জন' মংপুকে বেছে নেয় বলে অভিযোগ। সেখানে নির্মীয়মাণ ভবনে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ফের পাহাড়কে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হয়। উল্লেখ্য এখানে কোনও পুলিশ প্রহরা ছিল না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, আগুন লাগিয়ে দিয়ে কেউ পার পাবে না। প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এইসব হিংসাশ্রয়ী ঘটনার মোকাবিলায়। আইনি পথেই সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু মোর্চা সমর্থক ওই ভবনে বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। তাতেই আগুন লেগে যায় বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ করাতেই সেভাবে আন্দোলনের জায়গা পাচ্ছে না মোর্চা সমর্থকরা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ-সোনা মোতায়েন রাখা হয়েছে।
এদিন মোর্চার ডাকা বন্ধে সকাল থেকে বেশ কিছু জায়গায় পিকেটিং করে সমর্থকরা। কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ে রাস্তায় গাড়ি আটকানো হয়। সেইসব গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তবে পুলিশ ও সেনা হটিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকদের। ফলে বিক্ষোভ-অবরোধ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সিকিম থেকে শিলিগুড়িগামী বাস আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। সিকিমের সেই রুট ওপেন করতেও রাজ্য প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিলিগুড়িতে গৌতম দেবের নেতৃত্বে বৈঠক হয়। তারপরই রুট ওপেনের ব্যবস্থা।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে এদিন সেনা নামিয়ে পাহাড় শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকা ভাগ করে পুলিশ ও সেনা টহল দিচ্ছে। আরও তিন কোম্পানি সিআরপিএফ নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগেই ছ'কোম্পানি সেনা নামানো হয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এই অতিরিক্ত সিআরপিএফ নামানোর সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার থেকে মোর্চার জঙ্গি আন্দোলন শুরু হয়েছে। পুলিশ ও মোর্চার খণ্ডযুদ্ধে জখম হন দু'পক্ষের অনেকে। এই তালিকায় রয়েছেন প্রায় ৫০ জন পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবারই অঘোষিত বনধের চেহারা নেয় পাহাড়। শুক্রবার বনধের ডাক দিয়েছিল মোর্চা। সেই বনধ সফল করতে মোর্চা রাস্তায় নামলেও কোথাও বড়সড় গণ্ডগোল পাকতে পারেনি। শেষমেশ মংপুতে নির্মীয়মাণ ভবনে আগুন ধরিয়ে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা।