বাংলাকে টার্গেটে রেখেই কি বিজেপি বিহারে রেণুদেবীকে কুর্সি দিল! কোন সচেতন পদক্ষেপ পদ্মক্যাম্পের
বাংলাকে টার্গেটে রেখেই কি বিজেপি বিহারে রেণুদেবীকে কুর্সি দিল! কোন সচেতন পদক্ষেপ পদ্মক্যাম্পের
বিহারে নীতীশের মন্ত্রিসভা নিয়ে বৈঠকে কার্যত শেষ ওভারে জোড়া বাউন্ডারি মেরে দিয়েছে বিজেপি! সুশিল মোদীকে সরিয়ে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে দুই বিজেপি নেতা নেত্রীকে বসিয়ে বিহার রাজনীতিতে এক ভোট-ভারসাম্যের বার্তা যেমন দিয়েছে পদ্মক্যাম্প, তেমনই বাংলায় আসন্ন ২০২১ বিধানসভা ভোটকেও টার্গেটে রেখেছে দল। এমন এক পরিস্থিতিতে দেখে নেওয়া যাক রেণুদেবীকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে রেখে বাংলায় কোন দান দিয়েছে বিজেপি।
রেণুদেবী ফ্যাক্টর ও বাংলা
প্রসঙ্গত, বিজেপির রেণুদেবীর সঙ্গে হাওড়ার একটি যোগ রয়েছে। তিনি হাওড়ার জগাছার এককালের বাসিন্দা। জগাছায় রয়েছে তাঁর শ্বশুরবাড়ি। আর এই জায়গা থেকে সুচতুরভাবে রেণুদেবীর নাম বাংলাকে টার্গেটে রেখে বেছে নেয় বিজেপি। বিহারের মহিলা ভোট ও ইবিসি ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রাখার পাশাপাশি রেণুদেবীর বাংলা যোগকে কাজে লাগানোর কথা বিজেপি মাথায় রেখেছে বলে দাবি অনেকের।
বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও বাংলার ভোটব্যাঙ্ক
বাংলায় যে সমস্ত জায়গায় অবাঙালির ভোটার রয়েছে হাওড়ার বিস্তীর্ণ কিছু এলাকা তার মধ্যে অন্যতম। এখানের পুত্রবধূ বিহারের মসনদে বসেছেন, এই ফ্যাক্টর যেমন আসন্ন ভোটে বিজেপি কাজে লাগাতে চাইছে, তেমনই বিহার বাংলা সীমান্তে, বিশেষেত কাটিহার সংলগ্ন এলাকায় বিহারের ভটের হাওয়া বাংলায় প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপ। আর সেই দানে বিজেপির শক্ত ঘুঁটি বিহারের অপর উপমুখ্যমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদ। যিনি কাটিহার এলাকা থেকে জিতেছেন।
জগাছার পুত্রবধূর বিহারের রাজনীতিতে পা রাখা
বিয়ের পর রেণুদেবী বিহার থেকে হাওড়ার জগাছায় এসেছিলেন। সেখানে কিছু বছর কাটিয়ে তিনি ফিরে যান বিহারে। এক স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু। সেখান থেকে প্রবেশ রাজনীতিতে। বিজেপির টিকিটে পর পর ৪ বার বিধায়ক হন তিনি। এরপর গেরুয়া রাজনীতিতে উজ্জ্বল প্রকাশ তাঁর।
বিজেপির ফোকাস বাংলায়!
বিহার প্রব মিটে যেতেই বিজেপি পর পর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাকে ফোকাসে রেখে। সুনিপুণভাবে , সচেতন পদক্ষেপে রেণুদেবীকে বাংলার ভোটব্যাঙ্কের 'মাইন্ড গেম' এ কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে বিজেপি। আর সেই কারণেই বিহারে জোড়া উপমুখ্যমন্ত্রী সেরাজ্যের গন্ডি ছাড়িয়ে বাংলার জন্যও প্রাসঙ্গিক হতে শুরু করেছে। আর এর থেকেই অনুমে. যে বিজেপি বাংলা নিয়ে কতটা মুখিয়ে রয়েছে।
পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, প্রমাণ হাতে পেলেন রাজ্যপাল! রাজ্যে গণতন্ত্র লজ্জিত, মমতার সরকারকে আক্রমণ ধনখড়ের