আতঙ্কের পরিবেশ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় যে পথে হাঁটলেন বসিরহাটবাসী
হঠাৎ করেই বসিরহাট উত্তপ্ত হয়ে উঠল। কেন উত্তপ্ত হল, কার দায়, প্রশাসনেরই বা কী ভূমিকা— এখন আর সেসব নিয়ে ভাবতে চাইছে না বসিরহাটবাসী। এখন তাঁদের ভাবনায় শুধু শান্তি প্রতিষ্ঠা।
আতঙ্কের পরিবেশ এখনও পুরোপুরি কাটেনি বসিরহাটে। এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে আগুন। গুজব ছড়িয়ে পড়লে ফের হিংসার আগুন জ্বলতে পারে। প্রশাসনের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে তাই এলাকার বাসিন্দারাই গড়ে ফেললেন শান্তি বাহিনী। কোনওমতোই এলাকায় আর গুজব ছড়াতে দেবেন না তাঁরা। বসিরহাটকে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতেই তাঁদের এই উদ্যোগ।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বসিরহাটের পরিস্থিতি। এলাকায় এখনও থমথমে। শুনশান, বনধের পরিবেশ বিরাজ করছে এলাকায়। তবু দু'চারজন সাহস করে এখন রাস্তায় বের হচ্ছেন। আতঙ্ক সরছে ধীরে ধীরে। এরই মধ্যে প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকায়। অচল হয়ে রয়েছে ব্যাঙ্ক। এদিকে রসদও ফুরিয়েছে বাসিন্দাদের।
হঠাৎ করেই বসিরহাট উত্তপ্ত হয়ে উঠল। কেন উত্তপ্ত হল, কার দায়, প্রশাসনেরই বা কী ভূমিকা- এখন আর সেসব নিয়ে ভাবতে চাইছে না বসিরহাটবাসী। এখন তাঁদের ভাবনা শুধু একটাই- যে করেই হোক এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। তাই কারও বিরুদ্ধেই বিদ্বেষ মনে পুষে রাখতে চাইছেন না তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু'দিন আগেই ঘোষণা করেছেন রাজ্যে শান্তিবাহিনী গড়া হবে। এলাকায় শান্তি রক্ষা করাই হবে সেই বাহিনীর কাজ। দলমত নির্বিশেষে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়েই হবে এই শান্তি বাহিনী। কিন্তু বসিরহাটের মানুষ আর সেই ভরসায় অপেক্ষা করে থাকতে চাইছেন না। আগেভাগেই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শান্তিবাহিনী গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।
পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই জাতপাতের ঊর্ধ্বে গিয়ে এই শান্তিবাহিনী তৈরি হচ্ছে। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না তৈরি হয়, তা দেখবে এই বাহিনী। বহিরাগতরা যাতে এলাকায় ঢুকে উসকানি দিতে না পারে, শান্তিবাহিনী সেদিকেও লক্ষ্য রাখবে। রাত পাহারাও দেবে এই বাহিনী।