স্বাধীন ভারতে প্রথমবার বিদ্যুৎ এল দুর্গাপুরের মোতিলালডাঙ্গা গ্রামে
স্বাধীন ভারতে প্রথমবার বিদ্যুৎ এল দুর্গাপুরের মোতিলালডাঙ্গা গ্রামে
২০২০ সালে এসেও সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়া আস্ত একটি গ্রাম ! দীর্ঘ ৯ বছর ধরে আবেদন করে অবশেষে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাধীন ভারতে প্রথম বিদ্যুতের আলোর স্বাদ পেয়েছে দুর্গাপুরের কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের মোতিলালডাঙা গ্রাম।
এতদিনেও গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি? শুনলে অবাক হওয়ারই মতো। কিন্তু এটাই বাস্তব। দুর্গাপুরের কাঁকসার মোতিলালডাঙা গ্রাম এতদিন ছিল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। গত দুদিন আগে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুত কর্মাধ্যক্ষ অজয় মজুমদার। এদিন বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হল গ্রামে।
বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে খুশীর হাওয়া গ্রামবাসীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, একসময় গোটা এলাকাটি ডাঙা জমি ছিল। চাষবাস কিছুই হত না। খাঁ খাঁ করত চারদিক। বছর পঞ্চাশেক আগে মোতিলাল বার্মা নামে এক চাষী প্রথম ঘর তৈরী করে বসবাস শুরু করে। আশপাশের ডাঙা জমি কিনে চাষের উপযোগী করে তোলে। জ্বালানি তেল চালিত স্যালো বসিয়ে সেচের ব্যবস্থা করে। তারপর থেকে চাষের তাগিদে একে একে বসবাস শুরু।
সরষে, ভুট্টা, ঢেঁড়স সহ নানান শাকসব্জি চাষ হয়। বর্তমানে ওই গ্রামে প্রায় ৫০ টি পরিবারের বসবাস। কিন্তু তার সত্বেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছায়নি গ্রামে। বছর ধরে বিদ্যুতের জন্য আবেদন করে আসছেন বলে জানান গ্রামের বাসিন্দারা।
কৃষি প্রধান গ্রাম। কৃষি একমাত্র জীবিকা গ্রামবাসীদের। তারা জানান, 'বিদ্যুতের দাবী দীর্ঘদিনের। বিদ্যুতের অভাবে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনায় সমস্যা হত। নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে বিদ্যুতের দাবী জানিয়েছিলাম। প্রতিশ্রুতি ছাড়া কিছুই জেটেনি। নানান টালবাহনা শুরু হয়। আজ আশাপূরণ হয়েছে। অন্ধকারে থাকা গ্রাম আজ আলো পেয়েছে। আমরা খুব খুশী।
করোনায় বিকল্প চাষ ড্রাগন ফ্রুট, লাভের দিশা বংশিহারী ব্লকে