মফস্বলে সিনেমা হলের অন্ধকারে ফেঁদে চলছে মধুচক্র
পশ্চিমবঙ্গের মফস্বল এলাকার সিনেমা হল গুলিতে এখন দেহ ব্যবসার রমরমা। বাদ নেই পূর্ব বর্ধমানও। অভিযোগ, কোনও সময় পুলিশের সহযোগিতা, কোনও সময় স্থানীয় দাদাদের সহযোগিতায় চলছে এই ব্যবসা
পশ্চিমবঙ্গের মফস্বল এলাকার সিনেমা হলগুলিতে এখন দেহ ব্যবসার রমরমা। বাদ নেই পূর্ব বর্ধমানও। অভিযোগ, কোনও সময় পুলিশের সহযোগিতা, কোনও সময় স্থানীয় দাদাদের সহযোগিতায় চলছে এই ব্যবসা। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিনেমা দেখার দর্শকের থেকে দেহব্যবসার খরিদ্দার বেশি। বিভিন্ন মফস্বল শহরের সঙ্গে একই চিত্র পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার দুপুরে কাটোয়া শহর সংলগ্ন দাঁইহাটের শবরী সিনেমা হল ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্য়ে খরিদ্দাররা চম্পট দেয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এই সিনেমা হলের মধ্যে বেশ কিছু ঘর ঘন্টায় পাঁচশো থেকে হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়া হয় মধুচক্র চালাবার জন্য। সীমান্তবর্তী নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের সঙ্গে কাটোয়া এবং কালনা মহকুমার আড়কাঠিরা দাঁইহাটের সিনেমা হলটিতে মধুচক্রের আসর বসায়। দাঁইহাট পুলিশ ফাঁড়ির সঙ্গে মাসের ভিত্তিতে ব্যবস্থা আছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। পুলিশের মদতেই এই কারবার চলছে বলে অভিযোগ।
শুধু দাঁইহাট নয়, কাটোয়া শহরের সিনেমা হলেও মধুচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে গুসকরা শহরের একটি সিনেমা হলে এক মহিলাকে নিয়ে দুই খরিদ্দার যুবকের প্রকাশ্য টানাটানি চলে বলে অভিযোগ। কেন মফস্বল শহরের সিনেমা হলগুলিতে মধুচক্রের আসর বেড়েই চলেছে, এই প্রশ্নের জবাবে, সিনেমা হল মালিকদের একাংশের দাবি, এখন সিনেমা দেখতে দর্শকরা হলে আসে না। তাই হলের লোকসান এড়াতেই এই বন্দোবস্ত।
হোটেল বা লজগুলির মতো, কারা এল, আর কারা গেল তা লিপিবদ্ধ রাখবার কোনও দরকার পড়ে না হল মালিকদের। তবে পুলিশের তরফে ঘটনায় যোগাযোগের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। একইসঙ্গে নজরদারির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।