গুরুং-রা ফের ফাঁপরে, ইউএপিএ আইনের সঙ্গে যুক্ত খুনের ধারাও
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু-দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে পাহাড়়। দুই ঘটনার পিছনেই জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। পাহাড়ের আন্দোলনে জঙ্গি-যোগ প্রমাণ করে এই দুই ঘটনা।
আবারও ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত হলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। সেইসঙ্গে বিস্ফোরণ মামলায় যুক্ত হল খুনের ধারাও। দার্জিলিংয়ের পর এবার কালিম্পং থানায় গ্রেনেড বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়াল বিমল গুরুং-সহ মোর্চা নেতাদের নাম। দার্জিলিংয়ের ঘটনায় কারও মৃত্যু ঘটেনি, কিন্তু কালিম্পংয়ের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। সেই কারণেই গুরুংদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন : পাহাড় ফের রণক্ষেত্র, নেতা গ্রেফতার হতেই মোর্চা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ]
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দু-দুটি বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে উঠেছে পাহাড়়। এই দুই ঘটনার পিছনেই জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি এমনও অভিযোগ এদিন করেছেন, এই দুই ঘটনার সঙ্গে মোর্চার যোগসূত্র রয়েছে। পাহাড়ের আন্দোলনে জঙ্গি-যোগ যে রয়েছে, তা এই দুই ঘটনায় প্রমাণ করে।
শনিবার রাতে কালিম্পং থানায় গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যায় একদন দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় রাকেশ রাউত নামে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের। আহত হন হোমগার্ড ডেনডুপ শেরপা-সহ দু'জন। দু-জনেই শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন তাঁদের দেখতে যান পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, এই বিস্ফোরণের দায়ভার কোনওভাবেই এড়াতে পারে না মোর্চা নেতৃত্ব। আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমান্তকে কাজে লাগিয়ে ওইসব বিস্ফোরক আনা হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, এসবের পিছনে বড় মাথা রয়েছে।
এদিকে দার্জিলিং বিস্ফোরণ কাণ্ডে বিমল গুরুং, প্রকাশ গুরুং ও প্রবীণ সুব্বার নাম জড়িয়েছিল। কালিম্পংয়ের ঘটনায় ওই তিনজন ছাড়়াও জড়াল আরও দুই মোর্চা নেতা বারুদ থাপা ও দাওয়া লেপচার নাম। পাঁচজনের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা থেকে শুরু ১২০বি, ১২১, ১২১এ, ১২১বি ধারাতেও অভিযুক্ত করা হয়েছে গুরুং-সহ পাঁচ মোর্চা নেতাকে।