হার মানবে মধ্যযুগীয় নৃশংসতাও! প্রকাশ্যে মারধরের পর জীবন্ত পুড়িয়ে খুন ছোট ছেলেকে
প্রকাশ্য দিবালোকে সকলের চোখের সামনে মারধর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর পোড়া দেহটা পুতে দেওয়া হল ধানক্ষেতে।
মধ্যযুগীয় নৃশংসতাকেও হার মানাল এই ঘটনা। বাবা-দাদা মিলে বাড়ির ছোট ছেলেকে নৃসংসভাবে খুন করল। প্রকাশ্য দিবালোকে সকলের চোখের সামনে মারধর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার পর পোড়া দেহটা পুতে দেওয়া হল ধানক্ষেতে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা জলপাইগুড়ির মেটেলি ব্লকে।
হঠাৎই এলাকাবাসীরা লক্ষ্য করেন, দু-জন একটা বাঁশে এক যুবককে বেঁধে ধানক্ষেতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দু'জনের হাতেই ধারালো অস্ত্র। এরপর ধানক্ষেতের মধ্যে তাঁকে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। স্থানীয়রা তা দেখে বাধা দিতে গিয়েও পিছপা হয় দু'জনের রণংদেহি মুর্তিতে।
তারপর সকলের চোখের সামনেই ক্ষতবিক্ষত দেহতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয় নৃশংসতার। ক্ষতবিক্ষত আধপোড়া দেহটা এরপর ধানক্ষেতেই গর্ত করে পুতে দেয় তারা। এলাকাবাসীরা তা দেখে সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেয় থানায়। পুলিশ আসার আগেই সব শেষ। মৃত্যু হয় লাঠে ওঁরাও নামে ওই যুবকের।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মৃতের বাবা থাম্বে ওঁরাও ও দাদা ফাগু ওঁরাওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, পারিবারিক বিষয়গত কোনও বিবাদের জেরেই এই নৃশংসতা ও খুন। ধৃত দুজনকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের কাছে থেকে জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে কী কারণে এই খুন।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, এই ঘটনার সময় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে কাউকে কাছে ঘেসতে দেয়নি ওই দুইজন। নৃশংসভাবে মারধরের পর গায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয়। তারপর সেই আগুন নিভিয়ে দেহটি পুতে ফেলে ধানক্ষেতের মধ্যে। পুলিশ এসে দেহ তুলে ময়নাতদন্তে পাঠায়।