শিশুপাচারে সিআইডি নজরে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরী, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলছেন দিলীপ
শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি যোগ ক্রমশই প্রকট হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরেও প্রকাশ হয়ে পড়ল বিজেপি যোগ। জলপাইগুড়ির হোমে শিশু পাচারকাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছে বিজেপির মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম।
কলকাতা, ২০ ফেব্রুয়ারি : শিশুপাচারকাণ্ডে বিজেপি যোগ ক্রমশই প্রকট হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের পর উত্তরেও প্রকাশ হয়ে পড়ল বিজেপি যোগ। জলপাইগুড়ির হোমে শিশু পাচারকাণ্ডে জড়িয়ে গিয়েছে বিজেপির মোর্চা নেত্রী জুহি চৌধুরীর নাম। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি অস্বস্তিতে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য, দলের অস্বসস্তির প্রসঙ্গ মানতে নারাজ। তাঁর মতে পুরোটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।[কু-কথার বাণ জারি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে 'মিনমিনে সিং' বলে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের]
বাদুড়িয়ার সোহান নার্সিংহোমে শিশুপাচার চক্র সামনে আসতেই রাজ্যের একাধিক নার্সিংহোম ও হোমের নাম সমানে এসে পড়ে। প্রকাশ হয়ে পড়ে চিকিৎসকদের যোগও। সেই সূত্রেই বিজেপির চিকিৎসক নেতা দিলীপ ঘোষ জড়িয়ে যান শিশু পাচার কাণ্ডে। তাঁর ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয় রাজ্য বিজেপি। এবার কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সরে এসে শাসকদলের প্রতিহিংসার তত্ত্বেই মোকাবিলার তত্ত্বে নামল বিজেপি।[রাজ্যকে মনিরুল ও আরাবুলের বাংলা বানাতে দেব না, মমতাকে কড়া বার্তা দিলীপের]
অভিযোগ, জলপাইগুড়ির হোম থেকে শিশু পাচার করা হত বিদেশে। সিআইডি তদন্ত নেমে জানতে পারে, ১৭ জন শিশুকে দত্তকের নামে ইতিমধ্যেই পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনায় হোমের মালিক প্রধান শিক্ষিকা চন্দনা চক্রবর্তী গ্রেফতার হতেই প্রকাশ হয়ে পড়ে বিজেপি-র মহিলা মোর্চা নেতা জুহি চৌধুরীর নাম। জুহির সঙ্গে চন্দনার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। সেই সূত্র ধরেই শিশু দত্তকের নামে পাচারের জাল বিছানো হয়েছে বলে অভিযোগ।[প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাক্যবাণ, অমিত শাহের জরুরি তলব দিলীপকে]
সিআইডি তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, বিজেপি-র ওই নেত্রী চন্দনার হোমের লাইসেন্স নবীকরণ থেকে শুরু করে অনুদান সংক্রান্ত নানা বিষয়ে দিল্লিতে তদ্বির করতেন। তিনিই চন্দনাকে নিয়ে দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় ছুটোছুটি করতেন। তবে চন্দনাকে আচমকা গ্রেফতার করলেও জুহি বেপাত্তা। তাঁকে খুঁজছে সিআইডি। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি একজন জন প্রতিনিধি, সেই সূত্রে তিনি আমার কাছে আসতেই পারেন।[নন্দীগ্রামের পর ভাঙড়েও তৃণমূলের হাত ধরে প্রবেশ মাওবাদীদের! ব্যাখ্যা দিলীপ ঘোষের]
জুহির পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি এই ঘটনাকে প্রতিহিংসা বলে ব্যাখ্যা করেছেন। দলের তরফেও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে দল যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিনউ এ রাজ্যে এখন বিরোধীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। তবে দিলীপবাবু যা-ই ব্যাখ্যা দিন, এ ঘটনা বিজেপি-র বিড়ম্বনা বাড়াবেই।