ট্যাঙ্কার মালিকদের ধর্মঘটের জেরে ব্যাপক প্রভাব, জ্বালানি সংকটে কলকাতা-সহ ছটি জেলা
বেসরকারি ট্যাঙ্কার মালিকরা (tanker owners) অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে নেমেছেন। তাঁরা হাওড়ার মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের (indian pil) ডিপো থেকে তেল সংগ্রহ করছেন না। যার জেরে প্রভাব পড়েছে কলকাতা সহ ছটি জেলায়। জানা গিয়
বেসরকারি ট্যাঙ্কার মালিকরা (tanker owners) অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে নেমেছেন। তাঁরা হাওড়ার মৌড়িগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের (indian pil) ডিপো থেকে তেল সংগ্রহ করছেন না। যার জেরে প্রভাব পড়েছে কলকাতা সহ ছটি জেলায়। জানা গিয়েছে এই ছটি জেলার প্রায় ৫০০ টি পাম্পের মধ্যে অর্ধেক তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। যদি এই ধর্মঘট চলতে থাকে তাহলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
বেসরকারি ট্যাঙ্কার মালিকদের ক্ষোভ ইন্ডিয়ান অয়েলের টেন্ডারে পরিবহন খরচ কমানো নিয়ে। পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে এই ধর্মঘট বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে মৌরিগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েলের ডিপো থেকে কোনও ট্যাঙ্কার বেরোয়নি। ওইদিন সকাল থেকে ট্যাঙ্কার মালিকরা ট্যাঙ্কারে করে পেট্রোল এবং ডিজেল ভরে তেল সরবরাহ করেননি। যার জেরে কলকাতা ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, নদিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় তেল সরবরাহ করা যায়নি। ফলে এইসব এলাকার অর্ধেকের বেশি পেট্রোল পাম্প তেলশূন্য হয়ে পড়েছে। ট্যাঙ্কার মালিকদের নিয়ে সমস্যার দ্রুত না মেটানো হলে সঙ্কট আরও গভীরে পৌঁছে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ লকরে বলা হয়েছে, ভাড়া কমিয়ে দেওয়ায় সমস্যা ছাড়াও অন্তত ষাটটি চুক্তিবদ্ধ ট্যাঙ্কার বসিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিবহণ খরচ নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে তাদের আন্দোলন চলতে থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা আশপ্রকাশ করেছেন, কর্তৃপক্ষ বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করবে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই কলকাতা-সহ হাওড়ার পেট্রোল পাম্পগুলিতে থাকা জ্বালানি ফুরাতে শুরু করবে। ফলে করোনাকালে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
এদিকে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের তরফ থেকে মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি লিখে রাজ্য প্রশাসনের সাহায্য চাওয়া হয়। তবে ইন্ডিয়ান অয়েল যদি বিকল্প ব্যবস্থা না করতে পারে, তাহলে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে বলেই আশঙ্কা।
ধর্মঘট
শুরু
হওয়ার
দিন
থেকে
বৃস্পতিবার
থেকে
শুরু
করে
শুক্রবার
বিকেল
শহর
এবং
আশপাশের
এলাকার
বেশ
কিছু
পেট্রোল
পাম্প
শুকনো
হতে
শুরু
করেছে।
শনিবার
সকালে
তার
সঙ্গে
যুক্ত
হয়েছে
আরও
বেশ
কয়েকটি
পাম্প।
অনেক
ক্ষেত্রে
কোনও
পাম্পে
তেল
না
পেয়ে,
বড়
গাড়ি
থেকে
শুরু
করে
ছোটগাড়ির
সওয়ারিরা
অন্য
পাম্পগুলিতে
ভিড়
করতে
শুরু
করেছেন।
অনেকে
যেখানে
কম
টাকার
জ্বালানি
ভরাতেন,
তাঁরা
পুরো
ট্যাঙ্কই
ভর্তি
করে
নিচ্ছেন।
অন্যদিকে
শহরের
যেসমস্ত
পাম্পগুলি
সরাসরি
তেল
কোম্পানিগুলি
চালনা
করে
সেগুলির
পরিস্থিতি
অবশ্য
কিছুটা
আলাদা।
সেগুলোর
সামনে
পড়েছে
দীর্ঘ
লাইন।
খবরের ডেইলি ডোজ। ডাউনলোড Bengali Oneindia App
Daily News Update: দেশে কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, শহরে আজও মিলছে না কোভিশিল্ড