মহাপরাক্রমী ‘ভীম’-এর মতো সুপার পাওয়ার ড্রোন বানিয়ে তাক লাগাল খড়্গপুর আইআইটি
কুরুক্ষেত্রের মহাপরাক্রমী মধ্যম পাণ্ডবের মতোই ‘সুপার পাওয়ার’ ড্রোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল খড়গপুর আইআইটি। এই সুপার পাওয়ার ড্রোনের নামও দেওয়া হয়েছে মধ্যম পাণ্ডব ভীমের নামে।
খড়্গপুর, ২০ মার্চ : কুরুক্ষেত্রের মহাপরাক্রমী মধ্যম পাণ্ডবের মতোই 'সুপার পাওয়ার' ড্রোন বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল খড়্গপুর আইআইটি। এই সুপার পাওয়ার ড্রোনের নামও দেওয়া হয়েছে মধ্যম পাণ্ডব ভীমের নামে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক বা যুদ্ধ পরিস্থিতি এই সুপার পাওয়ার ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। আর দেশকে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। খড়গপুর আইআইটি-র কল্যাণে স্বনির্ভর হবে ভারত।
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভীমের বিক্রম থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই সুপার পাওয়ার ড্রোন তৈরি আইআইটি গবেষকদের। দৈর্ঘ্য মাত্র এক মিটার। এই ড্রোনটি উড়ানে সংযোগের পর এক কিলোমিটার এলাকায় তৈরি হবে ওয়াইফাই জোন। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় যোগাযোগ রক্ষার কাজে সহায়ক হবে সুপার পাওয়ার এই ড্রোন।
এছাড়া দুর্গম এলাকায় অবলীলায় চলে যেতে পারে এই ড্রোন। এ জন্য এর আলাদা করে সাত ঘম্টার ব্যাটারি ব্যাক-আপ রয়েছে। ত্রাণ সরবরাহ থেকে লড়াইয়ের ময়দানে যাবতীয় অস্ত্র-সরঞ্জাম সরবরাহে 'ভীম'-এর জুড়ি মেলা ভার। খড়গপুর আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোনটি তৈরি করেছেন সুদীপ মিশ্রের নেতৃত্বে আনন্দরূপ মুখোপাধ্যায়, এন এস রধুবংশী, অরিজিৎ রায়দের মতো একদল গবেষক।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ড্রোনের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে কোনও বাধা এলেও এড়িয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পৌঁছে যেতে পারেব ভীম। ল্যান্ড করার সময়ও নিজে থেকেই খুঁজে নিতে পারবে নির্জন জায়গা। আর এই ভীমের ক্ষেত্রে নজরদারির কাজে খরচ হবে অন্য ড্রোনের তুলনায় চার ভাগের এক ভাগ।