বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী হতেন 'সুকান্ত মজুমদার', জেনে নিন কিভাবে রাজনীতিতে উত্থান
বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী হতেন 'সুকান্ত মজুমদার', জেনে নিন কিভাবে রাজনীতিতে উত্থান
পেশাগত সূত্রেই বিজেপি অফিসের অলিগলিতে ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে বেশ কয়েকবছর৷ সেই সূত্রে বাকি রাজনৈতিক দলের মতো বিজেপিতেও কয়েকজন বন্ধুস্থানীয় সম্পর্ক তৈরি হয়েছে৷ সেরকমই এক রাজ্যস্তরের নেতার (এবং কর্মীও) সঙ্গে কথা হচ্ছিল একুশের ভোট চলাকালীন৷ বিজেপি যদি সত্যিই ক্ষমতায় আসে তাহলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী?
বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে ছিলেন!
সেই সময় অনেকে চোখ বন্ধ করে বলে দিচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের জিষ্ণু বসু থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ডঃ অনিবার্ণ গঙ্গোপাধ্যায় এমনকী সৌরভ গাঙ্গুলির নামও তখন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে। সেই সময় বিজেপি ওই নেতার মুখ থেকেই শুনেছিলাম বিজেপি যদি সত্যিই কোনও অঙ্কে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তাহলে আর তারপর দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী না হন তাহলে অবধারিতভাবে সুকান্ত মজুমদার মুখ্যমন্ত্রী হবেন৷ বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই এই কথা বলেছিলেন ওই নেতা।
মিডিয়ার আলোর বাইরে ছিলেন সুকান্ত!
বিজেপি অফিসের সারাক্ষণের ওই নেতার কথা শুনে বেশ কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। কারণ ততদিনে বালুরঘাটের সাংসদ হলেও সুকান্ত মজুমদার না নিজে থেকে মিডিয়া ও জনমানসে পরিচিত হতে চেয়েছেন, না বঙ্গ-বিজেপির পক্ষ থেকে সে চেষ্টা করা হয়েছে৷ যাই হোক যে ভরলোক এই নামটি বলেছিলেন তাঁর কথা ফেলে দেওয়ার মতো একেবারেই নয়৷ অতএব তখন থেকেই অল্পবিস্তর খোঁজ শুরু করেছিলাম সুকান্ত মজুমদারের সম্পর্কে৷
কিভাবে সুকান্তর বিজেপিতে আসা?
বোটানিতে পিএইচডি এবং পেশায় অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার বিজেপিতে আসার অনেক আগে থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সঙ্গে যুক্ত৷ সময়ে সময়ে বিজেপিতে সেনাপতি ও সৈনিক পাঠিয়ে থাকে রাস্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ৷ সেরকমভাবেই ২০১৯ এ আরএসএস-এর পদ ও দায়িত্ব মুক্ত হয়ে বিজেপিতে পা রেখেছেন এই অধ্যাপক। এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণভাবে সুকান্ত মজুমদার এবিভিপি, যুবমোর্চা হয়ে বিজেপি আসেননি। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ থেকে সরাসরি বিজেপিতে নির্বাচন লড়েছেন।
দিলীপই নাকি নিজের উত্তরসূরী হিসেবে সুকান্তর নাম জানিয়েছিলেন কেন্দ্র বিজেপিকে!
কিছুদিন আগে দিল্লি গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের নাম দিলীপ ঘোষই নাকি জানিয়ে এসেছেন জেপি নাড্ডাকে৷ সংবাদমাধ্যমে সেই সময়৷ এ নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছিল৷ তবে এখন নয় অনেকদিন থেকেই বালুরঘাটের সাংসদের উপর সুনজর রয়েছে কেন্দ্রীয় বিজেপির৷ তার অনেকগুলি কারণের কয়েকটি হল, আরএসএসে প্রায় ৩৫ বছরের কেরিয়ারে নিজেকে একাধিক দায়িত্বে প্রমাণ করেছেন সুকান্ত।
কেন কেন্দ্রের সু'নজরে সুকান্ত?
আরএসএস সূত্রের খবর উত্তরবঙ্গে কলেজ ছাত্র প্রমুখের, নিজের জেলার সহ সম্পর্ক প্রমুখ। এবং বিজেপিতে পা রাখার আগে উত্তরবঙ্গ প্রান্তের সহ বৌদ্ধিক প্রমুখের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন পেশায় বোটানির অধ্যাপক সুকান্ত মজুমদার৷ এছাড়াও সংঘের দ্বিতীয় বর্ষের (ক্যাম্প) সম্পন্ন করেছেন তিনি৷ রাজ্যেও তাঁর বিরোধিতা সেরকম নেই! পাশাপশি ২০১৯ এর লোকসভার ফল একুশের বিধানসভায় ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তিনি৷ সঙ্গে অধ্যাপনার মতো পেশায় রয়েছেন৷ একইরকম একাধিক কারণেই সুকান্ত মজুমদারের উপর বঙ্গ-বিজেপির দায়িত্ব দিতে ভরসা পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
বঙ্গ-BJP সভাপতি হওয়ার আগে, সংঘে একাধিক দায়িত্ব পালন করেছেন সুকান্ত মজুমদার