বিশাখাপটনমের দিকে ঘুরল 'হুদহুদ', দুর্যোগের শঙ্কা কমল কলকাতায়
আরও
পড়ুন:
এক
নজরে
'ঝোড়ো'
পরিভাষা
আরও
পড়ুন:
১৫৫
কিলোমিটার
বেগে
আঘাত
করবে
'হুদহুদ',
দাবি
হাওয়া
অফিসের
আরও
পড়ুন:
বাইরে
অঝোরে
ঝরছে
বৃষ্টি,
আমার
চোখ
বেয়ে
নেমে
আসছে
জলের
ধারা
গতকাল পর্যন্তও খবর ছিল যে, রবিবার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ওডিশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনমের মাঝামাঝি জায়গায় আঘাত হানবে। ঝড়ের অভিমুখ ওডিশার দিকে বেশি হেলে ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকালে স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, 'হুদহুদ'-এর অভিমুখ একটু বেশিই ঘুরে গিয়েছে বিশাখাপটনমের দিকে। ফলে ঝড়ের আঘাতে মূলত তছনছ হবে বিশাখাপটনম ও তার লাগোয়া এলাকা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্ধ্রের পূর্ব গোদাবরী, বিজয়নগরম ও শ্রীকাকুলাম জেলায়। ওডিশার গঞ্জাম, গজপতি, কোরাপুট ও মালকানগিরি জেলায়ও প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অতীব তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম) পরিণত হওয়া 'হুদহুদ' বিশাখাপটনম থেকে ৫৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
কিন্তু এটা কেন বাংলাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে? ঝড়ের কেন্দ্র থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যাপ্ত এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হয়। কলকাতা থেকে বিশাখাপটনমের দূরত্ব ৮৮৫ কিলোমিটার। ফলে কলকাতা, হাওড়া, হুগলী, বর্ধমান, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় দুর্যোগ যতটা হবে আশঙ্কা করা হয়েছিল, ততটা আর হবে না। ভারী বৃষ্টির বদলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ঝোড়ো হাওয়া বইবে, তবে সেটা ৪০-৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে নয়। দুর্যোগের স্থায়িত্বও কম হবে। তবে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ৬০-৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে। ফলে দীঘা, মন্দারমণি, তাজপুর ইত্যাদি জায়গায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের সতর্ক থাকতে হবে। সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় আশঙ্কা থাকায় স্নান করতে নামা উচিত হবে না।