কাটোয়ায় টুকলি-কাণ্ডে শিক্ষক পেটানোয় পরীক্ষার্থীকে বাতিল করল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ
টুকলিতে বাধায় শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি ও শিক্ষককে মারের জেরে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ওই বেয়াড়া ছাত্রের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল বলে গণ্য করেছে।
বর্ধমান, ২৯ মার্চ : টুকলিতে বাধায় শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি ও শিক্ষককে প্রহারের জেরে অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হল। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ওই বেয়াড়া ছাত্রের পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল বলে গণ্য করেছে।
বুধবার সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে এই শাস্তি বিধানের কথা জানিয়ে দিয়েছে সংসদ। সেইসঙ্গে পরীক্ষা বাতিল বলে গণ্য করে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বুঝিয়ে দিতে চেয়েছে, কোনও অবস্থাতেই পরীক্ষার্থীদের এই নকলের প্রবণতা বরদাস্ত করা হবে না।
সোমবার বর্ধমানের কাটোয়া কাশীরামদাস বিদ্যায়তনে উচ্চমাধ্যমিকের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে টুকলি-কাণ্ডে তুলকালাম বেধে যায়। পরীক্ষার্থীর হাতে শিক্ষিকাকে হেনস্থা হতে দেখে এক শিক্ষক রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বলে, তাঁকে নির্মমভাবে ইচ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। মাটিতে ফেলে এক ছাত্র শিক্ষক পেটায়। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শিক্ষককুল।
এমনকী ওই শিক্ষক হাসপাতালের বেডে শুয়ে বলেন, আমার মাথায় আঘাত করায় যতটা না কষ্ট হয়েছে, তার থেকে শতগুণ কষ্ট হয়েছে এক ছাত্রের হাতে মার খেতে দেখে। চোখের সামনে এক ছাত্র তাঁর শিক্ষকে মারধর করছে। শিক্ষিকার শ্লীলতাহানি করছে। কষ্ট হচ্ছে ওই ছাত্রের জন্য, যার এখনও নৈতিক শিক্ষাই হয়নি। তৈরি হয়নি মূল্যবোধ।
উল্লেখ্য, ওইদিনের ঘটনায় শিক্ষককে বাঁচাতে একদল ছাত্র এগিয়েও আসে। তাদের সঙ্গেও সঙ্ঘর্ষ বেধে যায় অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীর। তাকেও মারধর করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় তল্লাশি শুরু করে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। তারপর উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধানই করল পরীক্ষায় নকলের ঘটনায়।