'বি.এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ভর করবে সুপ্রিম ফলাফলে', আরও কি জানাল হাইকোর্ট?
'বি.এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ভর করবে সুপ্রিম ফলাফলে', আরও কি জানাল হাইকোর্ট?
টেট পরীক্ষা নিয়ে ক্রমশ বাড়ছে জটিলতা! 'বি.এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন", গত ২৯ শে সেপ্টেম্বরের বিজ্ঞপ্তির এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয় মামলা। আর আজ সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।
পর্ষদের কোনও আর সমস্যা রইল না
আর
সেই
শুনানিতে
হাইকোর্টের
স্পষ্ট
নির্দেশ,
সুপ্রিম
কোর্টের
মামলার
ফলাফলের
ওপর
নির্ভর
করবে
প্রাথমিক
নিয়োগ
প্রক্রিয়ায়
অংশ
গ্রহন
করা
বি.এড
যোগ্যতা
সম্পন্ন
প্রার্থীদের
ভাগ্য"
।
অর্থাৎ
এই
বিষয়ে
হাইকোর্ট
কোনও
হস্তক্ষেপ
করবে
না
বলেও
জানানো
হয়েছে।
বলে
রাখা
প্রয়োজন
সুপ্রিম
কোর্টে
এই
সংক্রান্ত
একটি
মামলার
শুনানি
চলছে।
তবে
হাইকোর্ট
বলে,
আগামী
২১শে
অক্টোবর
প্রকাশিত
হতে
চলা
নিয়োগ
সংক্রান্ত
পরবর্তী
বিজ্ঞপ্তিতে
এই
বিষয়
উল্লেখ
করার
জন্য
প্রাথমিক
শিক্ষা
পর্ষদকে
নির্দেশ
আদালতের।
যদিও
তাতে
পর্ষদের
কোনও
সমস্যা
নেই
বলে
আদালতে
জানিয়েছে
পর্ষদের
সচিব।
তবে
নিয়োগ
প্রক্রিয়া
চালিয়ে
নিয়ে
যেতে
পারবে
পর্ষদ।
এমনই
নির্দেশ
আদালতের।
ফলে
আগামী
২১
শে
অক্টোবর
থেকে
নিয়োগ
প্রক্রিয়া
শুরু
করতে
প্রাথমিক
শিক্ষা
পর্ষদের
কোনও
আর
সমস্যা
রইল
না।
মামলা হচ্ছে , চাকরি হচ্ছে কোথায়?
তবে আজ সোমবার মামলার শুনানিতে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বলেন, শুধু মামলা হচ্ছে , চাকরি হচ্ছে কোথায়? বলে রাখা প্রয়োজন, নতুন করে বাংলাতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আগামী ১১ হাজার শূন্যপদের জন্যে এই নিয়োগ করা হবে। এমনকি ডিসেম্বরে টেট পরীক্ষার জন্যে ইতিমধ্যে দিন ঘোষণা করা হচ্ছে। বিশেষ পোর্টালের মাধ্যমে নিয়োগও শুরু হচ্ছে। একেবারে জোর কদমে চলছে সমস্ত প্রক্রিয়া। এই শূন্যপদে টেট উত্তীর্নদের ফের পরীক্ষাতে বসার জন্যে আবেদন জানানো হয়েছে। তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
একের পর এক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে
আর এর মধ্যেই একের পর এক মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। বিশেষ করে গত মাসের ২৯ তারিখ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় " বি.এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরাও এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করতে পারবেন"। আর এই অংশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হয় মামলা। তবে এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ না করাতে নিয়োগ নিয়ে সমস্যা মিটল।
সুপ্রিম কোর্টের বি.এড মামলার ইতিহাস
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৮ সালের ২৮ শে জুন NCTE র জারি করা সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বি. এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীরাও অংশগ্রহন করতে পারেন। NCTE-র এই বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থগিতাদেশ দেয় রাজস্থান হাইকোর্ট।আর এরপরেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় NCTE। সেই মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আর সেউ বিষয়টিকেই আজ সোমবার এই মামলার শুনানিতে তুলে ধরে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, সুপ্রিম কোর্টের মামলার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহন করা বি.এড যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীদের ভাগ্য" । অর্থাৎ এই বিষয়ে হাইকোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করবে না