গ্রুপ-ডি মামলাতে তোপের মুখে সিবিআই! সিটের প্রধানকেই সরিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
গ্রুপ-ডি মামলাতে কে.সি. রিশিনামোল (ডেপুটি সুপার), ইমরান আশিককে (ইন্সপেক্টর) সিট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। আর সেই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্টের তোপের মুখ
গ্রুপ-ডি মামলাতে কে.সি. রিশিনামোল (ডেপুটি সুপার), ইমরান আশিককে (ইন্সপেক্টর) সিট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি হয়। আর সেই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্টের তোপের মুখে সিবিআইয়ের সিটের প্রধান কে.সি. রিশিনামোল। আর এরপরেই পুরানো সিট ভেঙে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
অব্যাহতি দেওয়া হল কে.সি. রিশিনামোল (ডেপুটি সুপার), ইমরান আশিককে। আজ বুধবার থেকেই তাঁরা কোনও কাজ করবেন না বলে স্পষ্ট নির্দেশিকাতে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি কোনও নথিতেও হাত দিতে পারবেন না বলে নির্দেশ। আর এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে নতুন সিবিআই সিট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে অংশুমান সাহা( ডেপুটি সুপার), বিশ্বনাথ চক্রবর্তী(ইন্সপেক্টর), প্রদীপ ত্রিপাঠি(ইন্সপেক্টর), ওয়াসিম আকরাম খান (ইন্সপেক্টর)।
এই চারজনকে সিটে যুক্ত করা হয়েছে। তবে CBI ACB র কলকাতার অফিসে কোন DIG নেই। তাই আগের DIG অখিলেশ সিং আপাতত SIT-এর নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তিনি বর্তমানে যেখানে আছেন সেখান থেকেই তাঁকে বাংলাতে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আপাতত তাঁকে বদলি করা যাবে না বলেও স্পষ্ট নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
গ্রুপ
ডি
মামলার
শুনানি
চলাকালীন
আজ
একাধিক
গুরুত্বপূর্ণ
পর্যবেক্ষণ
করে
কলকাতা
হাইকোর্ট।
বিচারপতি
গঙ্গোপাধ্যায়
বলেন,
সিবিআই
খুব
আস্তে
আস্তে
কাজ
করছে।
কেন
করছেন
সেটা
তারাই
জানেন।
শুধু
তাই
নয়,
গ্রুপ-ডি
র
৫৪২
জনের
মধ্যে
মাত্র
কেন
১৬
জনকে
জিজ্ঞাসাবাদ
করা
হয়েছে
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
তোলেন
বিচারপতি।
তাঁদের
জিজ্ঞেস
করলে
একাধিক
আরও
নিথি
পাওয়া
যায়
বলেও
পর্যবেক্ষণ
বিচারপতির।
আর
এরপরেই
কার্যত
সিটের
বর্তমান
প্রধানকে
সরিয়ে
নতুন
সিট
গঠনের
কথা
বলা
হয়।
তবে এদিন সিবিআইয়ের তরফে আদালতে জানানো হয়, বৃহত্তর চক্রান্তের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, টাকার উৎস খোঁজা হচ্ছে। এমনকি কাদের কাদের কাছে টাকা গেছে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সিবিআই আধিকারিকরা। অন্যদিকে দুর্নীতি ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যানের ওপর আস্থা রয়েছে বলে জানান বিচারপতি অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, এমন কিছু উনি করবেন না যাতে দুর্নীতি প্রশ্রয় পায় বলেও মন্তব্য বিচারপতির।
তবে এদিন শুনানিতে এসএসসি জানিয়েছে সিবিআইয়ের দেওয়া নথি থেকে নবম-দশমে ১৫০ জন ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তবে যারা এখনও চাকরি ছাড়েননি তাদের বিরুদ্ধে আদালত কড়া ব্যবস্থা নেবে বলে এদিন শুনানিতে জানালেন বিচারপতি।
কৌশল বদলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে চাকরি প্রার্থীরা! ধরতে ছুটল পুলিশ