সুখবর রাজ্যের সরকারি স্কুলে, অবশেষে জট কাটল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগে
রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষিকা নিয়োগের জট কাটল কলকাতা হাইকোর্টে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কাউন্সেলিং শুরু করতে পারবে বলে মঙ্গলবার স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তবে এদিন বিচারপতি আরও নির্দেশ দেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাকারীদের সম-সংখ্যক আসন ফাঁকা রাখতে হবে কমিশনকে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রণতি আগোয়ান-সহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। সেই মামলায় গত ২২শে জানুয়ারি থেকে কাউন্সিলিংয়ের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি ছিল। তাঁদের আইনজীবী এক্রামূল বারি জানান, 'স্নাতকোত্তরে ৪৮ শতাংশ নম্বর থাকায় তাঁরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও কাউন্সেলিংয়ে ডাক পাননি। তাই তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।'
তিনি আরও জানান, 'সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষক হতে গেলে ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্নাতকোত্তরে ৪০ শতাংশ নম্বর পেলেই চলত। ২০১৬ সালে তা বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করা হয় এবং ২০১৭ সালে ৫০ শতাংশ করা হয়। এছাড়াও কমপক্ষে দশ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এবং বিএড আবশ্যক করা হয়।
কিন্তু স্নাতকোত্তরে ৪৮ শতাংশ থাকায় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারছিলেন না। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হয়। সেই সময় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ওই মামলার প্রেক্ষিতে সবাইকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশে তাঁরা পরীক্ষায় বসেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন। কিন্তু তাদেরকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়নি। কমিশনের এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ বলে দাবি করেন মামলকারীর আইনজীবী।
তবে তার অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে এসএসসির আইনজীবী সুতনু পাত্র দাবি করেন, 'তাঁদেরকে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা যাবে না। কমিশনের নিয়মে কমিশন চাকরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শুধুমাত্র আদালতের নির্দেশে ওদেরকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়।' এরপর অবশ্য শূন্য পদ রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার আবেদন জানান তিনি।