বিজেপিকে ভেঙেও জোর ধাক্কা তৃণমূলের! হালিশহর পুরসভার ভাগ্য এখনও আদালতে
হালিশহর পুরসভার অনাস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
হালিশহর পুরসভার অনাস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২৩ জুলাই পর্যন্ত অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, ২৩ জুলাই মামলার শুনানির পর নয়া এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে হালিশহর পুরসভায় অনাস্থা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পর তা হচ্ছে না। এখন অপেক্ষা ২৩ জুলাই পর্যন্ত। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় যেভাবে নিজের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন, তা বেআইনি বলে দাবি করেন বিজেপি কাউন্সিলর বন্ধুগোপাল সাহা।
সেই মর্মেই হাইকোর্টে একটি মামলা দায়েল করেন বিজেপি কাউন্সিলর। তাঁর বক্তব্য, ১৭ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউন্সিলারদের অনাস্থা প্রস্তাবের তথ্য প্রদান করা হয়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাউন্সিলারদের এভাবে বার্তা দেওয়া যায় না। এই বিষয়টিতে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলাকারী।
এদিন শুনানির পর বিচারপতি জানান, তাড়াহুড়ো করে অনাস্থা আনা হচ্ছে। কেন অযথা তাড়াহুড়া করা হচ্ছে, কেন নির্দিষ্ট আইন মেনে অনাস্থায় যাচ্ছেন না চেয়ারম্যান সেই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানান, পরবর্তী শুনানির পরে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২৩ আসনের হালিশহর পুরসভার ২১ জন তৃণমূল কাউন্সিলর, একজন নির্দল ও একজন বিজেপির কাউন্সিলর। লোকসভা ভোটের পর তৃণমুলে ভাঙন ধরিয়ে হালিসহর পুরসভার ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর দিন ১৫-র মধ্যেই ৯ জন কাউন্সিলর ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। এই অবস্থাতেই অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়।