রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় আছড়ে পড়ল ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণাবর্তের বৃষ্টিতেই কালবৈশাখীর স্বাদ
ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। রবিবার সন্ধ্যা নামার পরই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আছড়ে পড়ল ঝড়। সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি।
ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। রবিবার সন্ধ্যা নামার পরই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আছড়ে পড়ল ঝড়। সঙ্গে বজ্র-বিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। আর এই ঝড়বৃষ্টির জেরে বেসামাল হয়ে পড়ল রেল চলাচলও। অন্তত ৪৫টি ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজধানী-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন।
সন্ধ্যার পর থেকেই মেঘ ঘনিয়ে আসে কলকাতার আকাশে। তারপরেই ঝড় এবং প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বৃষ্টি দাপট দেখাতে শুরু করে। শুধু কলকাতাই নয়, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, হিমালয়ের পাদদেশে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখায় পরিণত হয়েছে। তারই জেরে শুরু হয়েছে ঝড়-বৃষ্টি।
ছুটির সন্ধ্যায় শহরে আছড়ে পড়া ঝড়-বৃষ্টি প্রথম কালবৈশাখীর স্বাদ এনে দিল এদিন। তবে একইসঙ্গে যাত্রী সাধারণের কাছে সমস্যাও তৈরি করল এই বৃষ্টিস্নাত রাস্তাঘাট। সন্ধ্যায় এই ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপে বাড়ি ফেরার পথে অনেকেই বেকায়দায় পড়লেন। তার কারণ বৃষ্টিতে উধাও হয়েছে অনেক বাস-ট্যাক্সি। এমনিতেই রবিবার কম থাকে গাড়িঘোড়া। তারপর এই খারাপ আবহাওয়া আরও সমস্যায় ফেলেছে যাত্রী সাধারণকে।
এই বৃষ্টির জেরে জেলার বহু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক গাছ পড়েছে। গাছের ডাল ভেঙেছে। যার জেরে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। তারপর সবথেকে সমস্যা তৈরি হয়েছে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে। ঝড়-বৃষ্টির প্রকোপে অনেক ট্রেন বিলম্বে চলছে। ফলে অনেক যাত্রীই বিপাকে পড়বেন রবিবাসরীয় রাতে। রেল সূত্রে ঘোষণা করা হয়েছে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে।