শাসনে এলাকা দখলের লড়াইয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী, ব্যাপক বোমাবাজিতে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা
এক দিকে জারি রয়েছে এলাকা দখলের লড়াই, অন্যদিকে মেছো ভেড়ি নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা।
এক দিকে জারি রয়েছে এলাকা দখলের লড়াই, অন্যদিকে মেছো ভেড়ি নিয়ে ভাগ বাটোয়ারা। বৃহস্পতিবার যা নিয়ে মূলত তৃনমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের খামার-নওবাদ গ্রাম।
এদিন
সংঘর্ষ
চলাকালীন
এলাকায়
ব্যাপক
বোমাবাজি
ও
কোয়েক
রাউন্ড
গুলি
চলে
বলেও
জানা
যায়।
যার
জেরে
আতঙ্কিত
হয়ে
পড়েন
গ্রামবাসীরা।
পরে
পরিস্থিতি
সামাল
দিতে
এসে
ঘটনাস্থলেই
আক্রান্ত
হতে
হয়
পুলিশ।
পুলিশের
একটি
গাড়িতে
ব্যাপক
ভাঙচুর
চালানো
হয়।
গাড়ি
লক্ষ্য
করে
বোমা
ছোঁড়ারও
অভিযোগ
উঠেছে।
পরিস্থিতি
কার্যত
অগ্নিগর্ভ
হয়ে
ওঠে।
[আরও পড়ুন:বুলন্দশহর হিংসায় মূল অভিযুক্তকে নিয়ে জয় শ্রীরাম বলে উল্লাস জেলের বাইরে]
এরপর শাসন থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ছুটে আসে ঘটনাস্থানে। দু-পক্ষকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে! কিন্তু, তাঁদের সামনেই আবারও সংঘর্ষ জড়ায় তৃনমূলের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী। আর আমি ওর,লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমর্থ হয় পুলিশ।
যদিও,এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় বিক্ষোভও।এরপর,ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়।
সূত্রের খবর, শাসনের দুই তৃনমূল নেতা মতিয়ার সাপুই ও সফিকুল ইসলামের বিবাদ দীর্ঘদিনের। মূলত এলাকা দখল ও ভেড়ির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়েই গন্ডগোল তাঁদের। মতিয়ার সাপুই হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের অনুগামী। সফিকুল আবার দেগঙ্গার বিধায়ক রহিমা মন্ডলের কাছের লোক হিসাবে পরিচিত। গতকাল রাতে ওই দুই তৃনমূল নেতার অনুগামীদের মধ্যে এই নিয়ে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে।তারপরই, পড়তে থাকে একের পর এক বোমা! চলে গুলিও! মুহুর্মুহু বোমাবাজিতে কেঁপে ওঠে শাসনের খামার-নওবাদ গ্রাম।